২৮ তারিখ আবার ভারত-পাক মহারণ। এশিয়া কাপের ওই উত্তেজক ম্যাচের কথা মাথায় রেখে এই দুই দেশের ক্রিকেট ইতিহাস থেকে বাছাই করা কিছু ঘটনা তুলে ধরল TV9 Bangla। কেমন ছিল ভারত ও পাকিস্তান দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের প্রথম সাক্ষাৎ? সেই গল্প শোনালেন সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্তী। আজ তার তৃতীয় কিস্তি।
আর মাত্র ২ সপ্তাহ পর এশিয়া কাপে (Asia Cup) মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান (India vs Pakistan)। কুড়ি-বিশের ফর্ম্যাটে হতে চলেছে এ বারের এশিয়া কাপ। ক্রিকেটের ইতিহাসে এই দুই যখনই মুখোমুখি হয়েছে, সারা দুনিয়া ঝাঁপিয়ে পড়েছে ম্যাচটা দেখার জন্য। আবার উত্তেজনায় ভাসছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২৮ অগস্ট এশিয়া কাপে বাবর আজমের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে রোহিত শর্মার ভারত। তার আগে জেনে নিন ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফর্ম্যাটে এই দুই দলের প্রথম বারের সাক্ষাতের ফল কী হয়েছিল…
২০০৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর… দিনটা সব অর্থে ক্রিকেট বিশ্বের কাছে ঐতিহাসিক। কারণ কী? ১৫ বছর আগে, প্রথম বার ডারবানে টি-২০ ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। যে ম্যাচের কথা আজও ভোলেননি আপামর ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে সেই ম্যাচ শেষ অবধি টাই হয়েছিল। ২০০৭ সালে ডারবানে হওয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগে ভারত ও পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচটি টাই হয়েছিল ঠিকই, তবে বোল আউটে সেই ম্যাচে ৩-০ তে জিতেছিল ভারত। এরপর টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালেও এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচ গড়িয়েছিল টানটান শেষ ওভারে। এবং শেষ ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথম বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া।
টি-২০ বিশ্বকাপে ২০০৭ সালে ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সাক্ষাতে টসে জিতেছিল শোয়েব মালিকের পাকিস্তান। শুরুতে ব্যাটিং করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান তুলেছিল ভারত। মহম্মদ আসিফের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন ভারতের দুই ওপেনার, গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দ্র সেওয়াগ। মাত্র ৩ বল খেলে শূন্যে ফেরেন গৌতি। আর বীরু করে যান ৫। এরপর পর পর উইকেট হারাতে থাকে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার কোনও জুটিকেই থিতু হতে দেয়নি পাক বোলাররা। তবে পঞ্চম উইকেটে গিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে জুটি বাঁধেন রবীন উথাপ্পা। ৩৯ বলে ৫০ রান করে যান উথাপ্পা। গৌতম-সেওয়াগের পাশাপাশি সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যুবরাজ সিংও (১)। ভারত অধিনায়ক ধোনি করেন ৩৩ রান। এবং ইরফানের ব্যাটে এসেছিল ২০ রান। সব মিলিয়ে শোয়েবদের ১৪২ রানের টার্গেট দিয়েছিল ধোনিব্রিগেড। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মহম্মদ আসিফ। ২টি উইকেট পেয়েছিলেন শাহিদ আফ্রিদি। ১টি উইকেট পেয়েছিলেন ইয়াসির আরাফত ও সোহেল তনভীর।
১৪১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শরুটা খুব একটা ভালো হয়নি পাকিস্তানেরও। তৃতীয় ওভারের মাথায় ওপেনার ইমরান নাজিরকে (৭) ফিরিয়ে দিয়ে আরপি সিং প্রথম ঝটকা দেন পাকিস্তানকে। এরপর অষ্টম ওভারে গিয়ে আর এক ওপেনার সলমন বাটকে (১৭) হারিয়ে বসে পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে কামরান আকমলের সঙ্গে ভালো জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে দেন সলমন। নবম ওভারে ভারতকে জোড়া উইকেট এনে দেন ইরফান পাঠান। পাকিস্তানের হয়ে সর্বাধিক রান করেন মিশবা উল হক (৫৩)। পাক অধিনায়ক শোয়েব মালিক করে যান ২০ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তোলে ১৪১। শেষ মেশ বোল আউটে ওই ম্যাচ ৩-০ তে জিতেছিল ধোনির ভারত।
আর কয়েকদিন পরই এশিয়া কাপে আবার মুখোমুখি দুই দল। বর্তমানে দুই দলেরই খোলনলচে বদলে গিয়েছে। ফলে আবারও একবার টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ দেখার জন্য তৈরি ক্রিকেট অনুরাগীরা।