আমেদাবাদ: বয়স তাঁর কাছে শুধুই একটা সংখ্যামাত্র। অপ্রতিরোধ্য শুভমন গিলকে (Shubman Gill) থামানো যাচ্ছিল না। অথচ তিনি থামিয়ে দিলেন চোখের পলকে। এই জন্যই তিনি সবার থেকে আলাদা। তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। বয়স বিয়াল্লিশ। তবু ফিটনেসে এখনও বাকিদের টেক্কা দেন। আর রিফ্লেক্স আগের মতোই সপ্রতিভ। ০.১২ সেকেন্ডে শুভমন গিলকে স্টাম্প আউট করেন ধোনি। জাডেজার বল মিস করেন গিল। নিমেষের মধ্যে উইকেটের বেল উড়িয়ে দেন ধোনি (MS Dhoni)। ক্রিজের কিছুটা বাইরে ছিলেন গিল। ভেতরে ঢোকার সময়টাও পাননি। কিছু টের পাওয়ার আগেই তিনি স্টাম্প আউট। ধোনির এই দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। কমলা টুপির মালিককে যেভাবে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন ধোনি, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
ধোনির প্রশংসা করে গাভাসকর বলেন, ‘শুধু চেয়ে দেখতে হয়। ন্যানো সেকেন্ডের মধ্যে কাজটা শেষ করল। গ্লাভসে বল পড়তেই চোখের পলকে বেল উড়িয়ে দিল। সত্যিই অসাধারণ।’ কেভিন পিটারসেন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলেন, ‘আমি তোমাকে কিই বলেছিলাম। ধোনি। ও অসাধারণ। দেখলে তো!’ আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার সাইমন ডুল বলেন ওঠেন, ‘অসাধারণ দক্ষতা দেখাল চেন্নাইয়ের ক্যাপ্টেন।’
ধোনির সমর্থনে আমেদাবাদে ভিড় জমান সিএসকের সমর্থকরা। যা দেখার পর গাভাসকর বলেন, ‘ধোনির চেয়ে বড় সমর্থক বোধহয় ভারতীয় ক্রিকেটে আর নেই। বিরাট কোহলি, সচিন তেন্ডুলকরের ভক্তরা আছে ঠিকই, তবে আমার মনে ধোনির ভক্তরা সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে। দর্শকদের মধ্যে যে উন্মাদনা ধোনি ছড়িয়ে দিয়েছে তা অবিশ্বাস্য। যখন মাঠে প্রবেশ অদ্ভূত মুহূর্ত তৈরি হয়।’ ম্যাচের আগে গাভাসকর বলেছিলেন চেন্নাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তিনি ধোনির অটোগ্রাফ নিতে চান। এর আগে চিপকে গাভাসকরের জামায় অটোগ্রাফ দেন ধোনি। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সেই স্মৃতি উস্কে আবারও ধোনির থেকে অটোগ্রাফ নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।