দীপঙ্কর ঘোষাল : কবে না হোক, কোথায় যে হল ভুল! সানরাইজার্স হায়দরাবাদ শিবির যেন এরই জবাব খুঁজছে। রান তাড়ায় ৯০ শতাংশ সময় তাদের দখলেই ছিল ম্যাচ। সেখান থেকে জয় ছিনিয়ে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট অনেক কিছুই হতে পারে। টস জিতে প্রথমে ব্য়াট করে মাত্র ১৭১ রান করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই রান কমই। অন্তত সানরাইজার্সের গত ম্য়াচের পারফরম্য়ান্স, তাদের ব্য়াটিং লাইন আপ দেখলে সে কথাই বলা যায়। পাওয়ার প্লে তেই তিন উইকেট তুলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ বারের টুর্নামেন্টে পারফরম্যান্সের দিক থেকে দু-দলই এক বিন্দুতে ছিল। পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেট তুলে নেওয়ায় লড়াইটা যেন আরও সমানে সমানে হয়ে যায়। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই হ্য়ারি ব্রুকের উইকেট। কিন্তু এরপরই ম্য়াচ ক্রমশ কেকেআরের হাত থেকে বেরিয়ে যেতে থাকে। হেনরিখ ক্লাসেন এবং এইডেন মার্করাম জুটি তখন বাইশগজে দাপট দেখাচ্ছেন। সেখান থেকে শেষ ওভার নাটক। কী বলছে কেকেআর শিবির? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৪৭ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন ক্লাসেন ও মার্করাম। শার্দূল ঠাকুরের গোল্ডেন আর্ম কেকেআরকে ভরসা দিল। গত ম্য়াচে ঘরের মাঠে বোলিং করানো হয়নি শার্দূলকে। ব্য়াটিং অর্ডারে নামানো হয় তিনে। ৪ বলে কোনও অবদানই রাখতে পারেননি। এই ম্য়াচে ১৫ তম ওভারের প্রথম বলেই ক্লাসেনকে ফিরিয়ে সানরাইজার্সকে মানসিক ভাবে চাপে ফেলেন শার্দূল। এক ওভারের ব্য়বধানে এইডেন মার্করামকে ফেরান বৈভব অরোরা। হায়দরাবাদ ক্রমশ চাপে পড়তে থাকে। একটা সময় মনে হয়েছিল কয়েক ওভার বাকি থাকতেই ম্য়াচ জিতবে সানরাইজার্স। সেখান থেকে লাস্ট ওভারে ৯ রানের লক্ষ্য।
শেষ ওভারে বল হাতে দেখা যায় শার্দূলকে। শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানা। বল তুলে দেন স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর হাতে। ক্রিজে তখনও আব্দুল সামাদ এবং ভুবনেশ্বর কুমার। ৫ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর নীতীশ বলছেন, ‘আমি কিন্তু শার্দূলের থেকে বল কেড়ে নিইনি। আসলে ওর সঙ্গে আলোচনা করছিলাম, শেষে সিদ্ধান্ত নিই, টিমের সেরা বোলারকেই সুযোগ দিই।’ বরুণ চক্রবর্তী অধিনায়কের মান রাখলেন। মূল্যবান ২ পয়েন্ট। নিজের প্রথম ওভারে ১২ রান দিয়েছিলেন। শেষ ওভারে ৯ রানের পুঁজি নিয়ে দলকে মূল্যবান ২ পয়েন্ট এনে দিলেন। প্লে-অফের দৌঁড়ে রইল নাইটরা।