তিথিমালা মাজী: সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে এই প্রথম নেতৃত্ব দিলেন, তেমনটা নয়। অতীতে কেন উইলিয়ামসনের পরিবর্তে বহুবার অরেঞ্জ আর্মির হয়ে ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড পরে নেমেছেন (SRH vs RR) ভুবনেশ্বর কুমার। এদিনও নেমেছিলেন এডেন মার্করামের অনুপস্থিতিতে। কিন্তু ক্যাপ্টেনের পরিকল্পনায় আগাগোড়া গলদ। হাই স্কোরিং মাঠে দিনের ম্যাচে টস জিতেও প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত! যা পরে বুমেরাং হল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (IPL 2023)। তাঁর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও কহতব্য নয়। ৩ ওভারে ৩৬ রান খরচ করে উইকেটের ঝুলি শূন্য রইল। ব্যাট হাতে অবদান মাত্র ৬ রান। ভুবিদের ব্যর্থতার দিনে ব্যাটে-বলে অনবদ্য রাজস্থান রয়্যালস। হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে সব বিভাগেই হোম টিমকে টেক্কা দিয়ে ৭২ রানে ম্যাচ জিতে নিল গতবারের রানার্স রাজস্থান রয়্যালস। ম্যাচের বিস্তারিত TV9 Bangla-য়।
গত মরসুমটা যেখানে শেষ করেছিল রাজস্থান, শুরুটা হল সেখান থেকে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ওপেনারদ্বয় যশস্বী জয়সওয়াল এবং জস বাটলার। ২২ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে মঞ্চটা তৈরি করে দিয়ে যান বাটলার। তার উপর রানের পাহাড় তৈরি করলেন যশস্বী, সঞ্জু স্যামসনরা। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ওঠে ৮৫ রান। এ বারের আইপিএলে যা সর্বাধিক। যশস্বীর অবদান ৩৭ বলে ৫৪ রান। অধিনায়কোচিত ইনিংস সঞ্জু স্যামসনের (৩২ বলে ৫৫)। শেষদিকে ১৬ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন শিমরন হেটমায়ার। তিনটি অর্ধশতরানের দৌলতে রাজস্থানের খাতায় ওঠে ২০৩ রান।
বিশাল রানের লক্ষ্য তো ছিলই। শুরুতেই হায়দরাবাদের চাপ বাড়িয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। আইপিএলের ১৬তম সংস্করণে নিজের প্রথম ম্যাচেই বিধ্বংসী বোল্টের দেখা মিলেছে। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে প্রথম ওভারে ৩৩ বছরের বোলার বিনা রান খরচ করে দুটি উইকেট তুলে নেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই অভিষেক শর্মাকে ক্লিন বোল্ড করেন ট্রেন্ট বোল্ট। খাতা খোলার আগেই ১ উইকেট হারায় সানরাইজার্স। পরের বলেই ফেরেন রাহুল ত্রিপাঠী। বোল্টের পর চাহালের কামাল। বিস্তর আলোচনায় থাকায় আইপিএল অভিষেককারী হ্যারি ব্রুককে (১৩) ফেরান। এরপর চাহালের খাতায় যায় মায়াঙ্ক আগরওয়ালের উইকেট। ওপেনার মায়াঙ্কের ২৩ বলে ২৭ রানে মন্থর ইনিংস কাজে লাগল না হায়দরাবাদের। ১৩ বলে ১৮ রান আদিল রশিদের। তাঁকেও সাজঘরের পথ দেখান চাহাল। হায়দরাবাদের ক্যাপ্টেন ভুবনেশ্বর কুমার তাঁর শেষ শিকার। ৪ ওভারে ১৭ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিলেন।
হার নিশ্চিত ছিলই। শেষদিকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে আবদুল সামাদের ক্যামিও ইনিংস হারের ব্যবধান কমাতে সাহায্য করল হায়দরাবাদকে। ২টি চার ও ১টি ছয়ের ৩২ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেললেন। ৮ বলে ১৯ রান উমরান মালিকের। ২টি চার ও একটি ছয় এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেও। শেষমেশ ২০ ওভারে ১৩১ রানে থামে হায়দরাবাদের ইনিংস।