সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে টানা তিন ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বারে তুঙ্গে ছিল বাংলা শিবির। সেখান থেকে ধাক্কা। চতুর্থ ম্যাচে হার। এ মরসুমে রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম জয় পাওয়া মধ্যপ্রদেশের কাছেই হার বাংলার। স্পিনাররা যেমন হতাশ করলেন, তেমনই হতাশার ব্যাটিং মিডল ও লোয়ার অর্ডারের। মধ্যপ্রদেশের জয়ে বড় ভূমিকা নিলেন আইপিএলে বিরাট কোহলির দোসর রজত পাতিদার। ৪ ম্যাচে ৪টিই জিতল মধ্যপ্রদেশ। প্রথম হার বাংলার।
টস জিতে ব্যটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। অভিষেক পোড়েল ও করণ লাল বিধ্বংসী শুরু করলেও স্পিনের ফাঁদে পড়েন। অভিষেক ১৪ বলে ২৫ এবং করণ লাল ৩০ বলে ৪৪ রান করেন। অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ ১৬ বলে ৩৭ রান করেন। এরপরই বাংলা শিবিরে হতাশা। ১৫৪ রানে চার থেকে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৯ রানেই শেষ বাংলার ইনিংস। লেগ স্পিনার শিবম শুক্লা ৪ উইকেট নেন।
বোলিংয়ে বাংলার দুই স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিক ও ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় চূড়ান্ত হতাশ করেন। এই দু-জনের চার ওভারে এসেছে ৬২ রান। এখানেই ম্যাচটা বাংলার হাতের বাইরে। ৪২ রানেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়েছিলেন বাংলার পেসার কণিষ্ক শেঠ। স্লিঙ্গার সায়ন ঘোষও ২ উইকেট নেন। তবে আরসিবিতে রিটেন করা রজত পাতিদারের ৪০ বলে ৬৮ রানের ইনিংস এবং বাংলার দুই স্পিনারের পারফরম্যান্স পার্থক্য গড়ে দেয়। ২ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় মধ্যপ্রদেশের। টানা তিন ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি প্লাস ইনিংস মধ্যপ্রদেশ ক্যাপ্টেন রজত পাতিদারের।