কলকাতা: ক্রিকেট প্রেমীরা এখনও যেন সেই রেশ থেকে বেরোতে পারছে না। এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। বিশ্বকাপের মঞ্চে রোমাঞ্চ থাকবে, এটাই তো প্রত্যাশিত। দিল্লি দেখেছিল আফগানিস্তানের জয়। তাও আবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই নেদারল্যান্ডসের ইতিহাস। এ বারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বিধ্বংসী মনে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রথম ম্যাচেই একঝাঁক রেকর্ড গড়েছিল। বিশ্বকাপের মঞ্চে সবচেয়ে বড় স্কোরের রেকর্ড গড়েছে তারা। এক ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এইডেনের। পরের ম্যাচে অজিদের হারানো। কে ভেবেছিল সেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেবে নেদারল্যান্ডস! আর তাদের হারানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন আফগানিস্তানেরই প্রাক্তন ক্রিকেটার! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মনে পড়ে? গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডস। কঠিন পরিস্থিতিতে ছিল প্রোটিয়ারা। ভরসা তখন কিলার মিলার। তাঁকে ফেরাতে পারলেই কেল্লাফতে! পরিস্থিতি তেমনই ছিল। সেই সুযোগও তৈরি হয়। অনেকটা দৌড়ে চোখ ধাঁধানো ক্যাচে মিলারকে ফেরান রোলেফ ভ্যান ডার মারওয়ে। নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বার ওয়ান ডে বিশ্বকাপের মঞ্চেও বিশাল ধাক্কা দিয়েছে তাদের। নেদারল্যান্ডসের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন রোলেফ। যাঁর ডাক নাম ‘বুলডগ’। কেন তাঁকে নিয়ে এত আলোচনা?
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম। প্রোটিয়াদের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯, সিনিয়র দলেও খেলেছেন রোলেফ ভ্যান ডার মারওয়ে। কিন্তু সেই অর্থে সুযোগ মিলছিল না। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল অবধি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেন। কিন্তু ২০১১ বিশ্বকাপে প্রোটিয়া টিমে জায়গা হয়নি রোলেফের। হয়তো সেটাও বড় কারণ ছিল হতাশার। ডাচ পাসপোর্ট থাকায় নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। ৩৮ বছরেও দাপিয়ে খেলছেন।
শুধু রোলেফ ভ্যান ডার মারওয়েই নন। নেদারল্যান্ডস স্কোয়াডে পাঁচ জন ক্রিকেটার রয়েছেন যারা জন্মসূত্রে দক্ষিণ আফ্রিকান। এর মধ্যে রোলেফ এবং কলিন অ্যাকারম্যান একাদশে নিয়মিত। অ্যাকারম্যান দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব ১৯ দলে সহ অধিনায়কও ছিলেন। ডাচ স্কোয়াডের বাকি তিন প্রোটিয়া হলেন সিনবার্ড এঙ্খেলব্রেট, রায়ান ক্লেন ও রিজার্ভ কিপার ওয়েসলি বারেসি। নেদারল্যান্ডস কোচিং টিমেও প্রোটিয়া আধিক্য। হেড কোচ রায়ান কুক, সহকারী হেইনো কুন, শেন বার্জার, রায়ান ভ্যান নিকার্ক দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রোলেফই। এই ডাচ টিম আরও কিছু অঘটন দেখালেও অবাক হওয়ার নেই।