নয়াদিল্লি : বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার মধ্যে সম্পর্ক কেমন? সাংবাদিক সম্মেলনে পরস্পরের তারিফ করতে ছাড়েন না রোহিত কিংবা বিরাট। অফ ফর্মে থাকা রোহিতকে দিনের পর দিন দলে রেখেছেন অধিনায়ক বিরাট। তেমন কয়েক বছর আগেও বিরাট কোহলির শতরানের খরা চললেও পাশে থেকেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বরাবরই ‘বন্ধুত্ব’ নজরে পড়েছে। তবে দলের অন্দরের খবর কি এমনই? ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের সদ্য প্রকাশিত বই কিন্তু তেমন বলছে না। বিরাট-রোহিতের শত্রুতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল এমনটাই দাবি করা হয়েছে। দলের মধ্যেও ভিন্ন দুটি লবি ছিল! বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার দ্বন্দ্ব নিয়ে যখনই প্রশ্ন উঠেছে, দু-জনেই এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁদের দাবি ছিল, সবটাই ‘সাজানো’। কিন্তু প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচের প্রকাশিত বই চাঞ্চল্য় ফেলে দিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটে দু-জনেই সমসাময়িক। দুই তারকা এক দলে থাকলে বিতণ্ডা থাকবে, এমনটাই যেন প্রত্যাশিত। ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলছেন বিরাট-রোহিত। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে বিরাট কোহলি খেলার সুযোগ পেলেও রোহিতের জায়গা হয়নি। এখন দু-জনেই কেরিয়ারের শেষের দিকে। ২০১৩-র পর ভারতীয় দল আইসিসির কোনও ট্রফি জেতেনি। এর মাঝে বেশ কয়েক বার সেমিফাইনাল, ফাইনাল অবধিই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ভারতকে।
এ বছর ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপ হয়েছিল ২০১৯ সালে ইংল্য়ান্ডে। রোহিত শর্মা অনবদ্য ছন্দে ছিলেন। টুর্নামেন্টে পাঁচটি শতরান করেছিলেন। ভারত যদিও সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেয়। প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ শ্রীধর তাঁর প্রকাশিত বই ‘কোচিং বিয়ন্ড’ এ একটি জায়গায় লিখেছেন, ‘২০১৯ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্য়ান্ডের কাছে হারের পর ড্রেসিংরুমের অনেক ঘটনাই প্রকাশ্যে এসেছিল। দলের মধ্যে রোহিত-বিরাটের আলাদা লবি আছে, এমনটাও বলা হয়েছিল। সোশ্য়াল মিডিয়ায় একে অপরকে আনফলো করেছিলেন রোহিত-বিরাট। এই ঘটনাগুলো বাড়তে দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত।’
শ্রীধর আরও লিখেছেন, ‘বিশ্বকাপের পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল। আমেরিকার লাউডারহিলে ম্যাচ ছিল। পৌঁছনোর পরই রবি (হেড কোচ রবি শাস্ত্রী) বিরাট ও রোহিতকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠায়। ওদের বোঝায়, ভারতীয় ক্রিকেটকে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখতে গেলে এই দু-জনকে মিলে মিশে থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাই হোক, সে সব নিয়ে আমরা মাথা ঘামাইনি। তবে দলের সবেচেয়ে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের দ্বন্দ্ব থামা উচিত। রবি কার্যত গালাগাল দিয়েই ওদের বলে, পুরনো রাগ পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে।’