আমেদাবাদ: চিপকের পিচ নিয়ে বিতর্ক এখনও থামেনি। নতুন চেহারায় আত্মপ্রকাশ করতে চলা মোতেরার পিচ কেমন হবে, তা নিয়েও কম আলোচনা নেই। সে সব থামিয়ে দিয়ে বেন স্টোকস কিন্তু বলছেন, টেস্ট ক্রিকেট যাঁরা খেলেন, তাঁদের সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।
লন্ডনের একটি দৈনিক কাগজে নিজের কলামে স্টোকস বলেছেন, ‘টেস্ট ব্যাটসম্যান হতে গেলে সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। বিদেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য ভারত সব সময় কঠিন জায়গা। তার পরেই কিন্তু ইংল্যান্ড। চ্যালেঞ্জটা তো খেলার অঙ্গ। সেটা নিতে কিন্তু আমরা ভালোবাসি।’
Perfection ? pic.twitter.com/q869C9z6kp
— England Cricket (@englandcricket) February 20, 2021
ভারত-ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্ট হবে আমেদাবাদে। তৃতীয় টেস্ট দিন-রাতের। মোতেরায় কি স্পিনিং ট্র্যাকই হবে? চিপকে দ্বিতীয় টেস্টে খুব বেশি বল করতে দেখা যায়নি স্টোকসকে। মোতেরায় গোলাপি বলের টেস্টে বোলার স্টোকসকে বল হাতে অনেক বেশি দেখা যাবে। ‘দ্বিতীয় ম্যাচে খুব বেশি বল করিনি। তবে তৃতীয় টেস্টে আমি নিশ্চিত ভাবেই বল করব।’
এই মুহূর্তে সিরিজ ১-১। প্রথম টেস্টে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে দুরন্ত ভাবে ফিরে এসেছে বিরাট কোহলির ভারত। তৃতীয় টেস্ট অন্য রকম হবে, ধারণা স্টোকসের। যে কারণে টিমে জেমস অ্যান্ডারসন, জোফ্রা আর্চারদের ফেরানো হচ্ছে। ‘বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক না কেন, দিন-রাতের টেস্টে সন্ধের পর বল মুভ করেই। যে কারণে সিমাররা ফ্লাড লাইটে কিছুটা সাহায্য পায়। মোতেরার মতো নতুন মাঠে বল কতটা মুভ করবে, সেটা কিন্তু দেখার বিষয়। আমাদের টিমের স্পিনাররা বেশ ভালো। পেসাররাও কিন্তু টিমকে সাহায্য করার জন্য তৈরি।’
আরও পড়ুন:ইস্ট-মোহনের পথে হেঁটে অ্যাকাডেমির ভাবনা মহমেডানের
২০১২ সালে ভারতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত। ওই দুরন্ত জয় এখনও টিমকে তাতায়, বলছেন স্টোকস। ‘ভারতে এসে খুব বেশি বিদেশি টিম সিরিজ জেতে না। সে দিক থেকে ২০১২ সালে আমরা একটা বিরাট ঘটনা ঘটিয়েছিলাম। সেই একই রকম সাফল্য আমরা আরও একবার পেতে চাই।’
প্রথম দুটো টেস্টে যে টিম আগে ব্যাট করেছে, তারা বড় রান তুলে চাপে ফেলে দিয়েছে বিপক্ষকে। প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড, দ্বিতীয় টেস্টে ভারত। মোতেরাতেও কি তেমন কিছু দেখা যাবে? ‘উপমহাদেশে স্কোরবোর্ড প্রেসার বলে একটা কথা আছে। এখানে যে টিম সেটা করতে পারে, তারা চাপ তৈরি করে দেয়। তবে, ভারতের মাঠে কী ভাবে টেস্ট জিততে হয়, সেটা জানি আমরা।’