নয়াদিল্লি: গত ১৪ বছরের আইপিএল (IPL 2022) কেরিয়ারে যা করেননি, তাই এ বার করেছেন। আর তা দেখতে দেখতে ভুক্তকুল বলতে শুরু করেছেন, এত ভুল কেন! সব মিলিয়ে আইপিএলের ১৬টা ম্যাচে ৩৪১ রান করেছেন। গড় ২২.৭৩। হাফসেঞ্চুরি মাত্র দুটো। প্লে-অফের দুটো ম্যাচে আরসিবিকে (RCB) রানই দিতে পারেননি তিনি। তারই খেসারত দিতে হয়েছে টিমকে। আরও একবার প্লে-অফ থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে আরসিবিকে। পুরো আইপিএল জুড়েই আলোচনায় ছিলেন তিনি। আইপিএলে তাঁর এবং টিমের যাত্রা শেষ হওয়ার পরও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। ভুলের পর ভুল করে যাওয়া বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) নিয়ে এ বার সোচ্চার এক ভারতীয় কিংবদন্তিও। যিনি অবাক করে দিয়ে বলছেন, এই বিরাটকে আমি চিনি না। গত ১৪ বছর ধরে ভিকে এত ভুল করেননি, যা এ বার করেছেন!
যিনি সমালোচনায় মুখর, তিনি কে? বীরেন্দ্র সেওয়াগ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় তিন বছর হয়ে গেল কোনও ফর্ম্যাটেই সেঞ্চুরি পাননি। টেস্ট, ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টি— সবেতেই ব্যাটিং গড় কমতে শুরু করেছে তাঁর। সচিন তেন্ডুলকরের ১০০ সেঞ্চুরির রেকর্ড যিনি ভাঙতে পারেন, সেই তিনিই কেন এমন খরার মধ্যে মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা চলছে। তারই মধ্যে সেওয়াগ বলছেন, ‘এই বিরাট কোহলিকে আমরা চিনি না। এই মরসুমে এক অন্য বিরাটকে খেলতে দেখলাম। যে ভুল এ বারের আইপিএলে ও করেছে, সারা আইপিএল কেরিয়ারে এত ভুল করেনি।’
বিরাটের আগের প্রজন্মের ক্রিকেটার বীরু ছিলেন ভারতের অন্যতম ম্যাচ উইনার। এক জন ব্যাটার কেন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যান, তা ভালোই জানেন। তাই বলছেন, ‘কেউ যখন রান পায় না, তখন এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়। ব্যাড প্যাচের মধ্যে পড়লে যে কেউ বেরিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করে। তখন নানা রকম ভাবে সে আউট হয়। এই মরসুমে বিরাট যত রকম ভাবে আউট হওয়া যায়, তত রকম ভাবে হয়েছে।’
রাজস্থানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে প্রসিধ কৃষ্ণার বল তাড়া করতে গিয়ে আউট হয়েছেন বিরাট। বিরাটের আউট হওয়ার ধরন দেখে বীরু বলছেন, ‘যে ফর্মে নেই, সে সব সময় চেষ্টা করে ব্যাটের মাঝখান দিয়ে শট খেলার। ব্যাটার ভাবে ব্যাটের মাঝখান দিয়ে শট খেলতে পারলে আত্মবিশ্বাস পাওয়া যাবে। বিরাট প্রথম ওভারে বেশ কয়েকটা বল ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু ফর্মে না থাকা ব্যাটাররাই বল তাড়া করার চেষ্টা করে। যখন কপাল সঙ্গে থাকে, অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করার সময় খোঁচা লাগে না। বিরাটের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। বিরাটের উচিত ছিল বলটা ছেড়ে দেওয়া। না হলে সজোরে মারা। তেমন ভাবে মারতে পারলে কিপারের মাথার উপর দিয়ে বলটা উড়ে যেতে পারত। কিন্তু বিরাট যে ভাবে আউট হয়েছে, যেন ক্য়াচিং প্র্যাক্টিস করাচ্ছে।’