কলকাতা: আরও একটা দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে প্রত্য়াশার। জসপ্রীত বুমরার কাছে আরও বিশেষ কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই সফর। জসপ্রীত বুমরা এবং টেস্ট ক্রিকেট। একটা সময় অবধি এই সম্ভাবনা অবাক মনে হত অনেকেরই। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তাঁকে প্রথম দেখা। তরুণ এক পেসার, ব্যতিক্রমী বোলিং অ্যাকশন, নিখুঁত ইয়র্কার দিতে পারেন। অজান্তেই টি-টোয়েন্টি বোলারের তকমা এঁটে গিয়েছিল জসপ্রীতের মধ্যে। তবে ২০১৮ সালে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, সব হিসেব উল্টে-পাল্টে দেয়। এর পর থেকে সব ফরম্যাটেই বুমরা সুপার হিট। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এশিয়ার বাইরে টেস্ট। বিশেষ করে SENA (সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া) কাউন্ট্রিতে টেস্ট মানেই ভারতীয় দলের ব্যাটারদের মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হত, গ্রিন টপ অপেক্ষা করছে। গত কয়েক বছরে চিত্রটা বদলে গিয়েছে। সৌজন্যে ভারতের পেস বোলিং আক্রমণ। রবি শাস্ত্রী ও ভরত অরুণ কোচিং জমানায় ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ সামি, উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মা। সঙ্গে যোগ হয় জসপ্রীত বুমরার নাম। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই ভারত পেয়েছিল টেস্ট ক্রিকেটে এক নতুন পেসারকে।
সালটা ২০১৮। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত। তার আগে ইংল্যান্ডে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেখানেও টেস্ট স্কোয়াডে ছিলেন বুমরা। টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি। তবে ইংল্যান্ডে ডিউক বলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। অস্ট্রেলিয়ায় কুকাবুরা বলে খেলা হয়। ভারতে এসজি টেস্ট বল। ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে টেস্ট খেলা হয় ডিউক বলে। তুলনামূলক ভাবে এই বলের ল্যাকার অনেক বেশি। পুরনো হতে সময় লাগে। বল কিছুটা পুরনো হওয়ার পর সুইং বাড়ে। এসজি বলের তুলনায় অনেক বেশি সময় হার্ড থাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে হঠাৎই টেস্টে আত্মপ্রকাশ জসপ্রীত বুমরার। সামি, ভুবনেশ্বর কুমারের সঙ্গে প্রথম টেস্টে তৃতীয় পেসার জসপ্রীত। সঙ্গে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। সিরিজ সে বারও জেতা হয়নি। তবে প্রতিপক্ষ শিবিরে পেস আতঙ্ক তৈরি করা গিয়েছিল। কেপ টাউনে প্রথম টেস্টে ভারতের ব্যাটিং ভালো হলে জেতাই যেত। লাল ডিউক বলে বুমরা কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, অভিষেক সিরিজেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচে ৪, দ্বিতীয় টেস্টে ৩ ও সিরিজের শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নিয়েছিলেন বুমরা।
এ বার ভারতের ব্যাটিং অনেক বেশি শক্তিশালী। বোলিংয়ে সামি না থাকলেও বুমরা, সিরাজ রয়েছেন। অভিজ্ঞতা বেড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ জিততে না পারার আক্ষেপও। ইতিহাস কি হবে?