ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হবে এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। জুনের এই বিশ্বকাপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তথা ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। আর তাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে যুবরাজ সিংয়ের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ উঠলেই সকলের চোখের সামনে ভাসবে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ। ইংল্যান্ড পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন যুবি। জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের স্কোয়াড এবং সম্ভাবনা নিয়ে নানা প্রসঙ্গ উঠে এল যুবরাজ সিংয়ের মুখে।
ভারতের স্কোয়াডে উইকেটকিপার কে হবেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এটাই। ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর ভারত শুধু অপেক্ষাই করে গিয়েছে। এরপর আর একবারও চ্য়াম্পিয়ন হতে পারেনি। ট্রফির অনেক কাছ থেকেও ফিরেছে ভারত। এ বারও টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসেবেই নামবে ভারতীয় দল। এ বারও বিশ্বকাপে থাকছেন যুবরাজ সিং। তবে আইসিসির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে।
জুনে বিশ্বকাপে ভারতের সাফল্যের রসদ কী হতে পারে? যুবরাজ সিংয়ের মতে সূর্যকুমার যাদব ও জসপ্রীত বুমরা। যুবরাজ বলছেন, ‘বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন সূর্যকুমার যাদব। ওর যা খেলার ধরন, ১৫ বলের মধ্যেই পরিস্থিতি পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। নিশ্চিত করেই বলতে পারি, সূর্যকুমার যাদবই এক্স ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন।’
ব্যাটিংয়ে যেমন স্কাই, বোলিংয়ে যুবির ভরসা বুমরা। দুই ফরম্য়াটেই বিশ্বকাপ জয়ী যুবরাজ সিং বলছেন, ‘বোলিংয়ের ক্ষেত্রে ভারতের প্রধান অস্ত্র জসপ্রীত বুমরা। বোলিং আক্রমণে আমি একজন লেগস্পিনারও দেখতে চাই। সেটা যুজবেন্দ্র চাহাল হতে পারে। ও দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। তবে নিজে একজন ব্যাটার হিসেবে দলের প্রধান মুখ হিসেবে সূর্যকুমার যাদবকেই বেছে নেব।’
ভারতের কিপার কে হতে পারেন? দীনেশ কার্তিকের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ যুবরাজ সিং। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন দীনেশ কার্তিক। যুবরাজের মতে, কার্তিককে যদি একাদশে রাখা হয়, তবেই তাঁকে স্কোয়াডে রাখা উচিত। একাদশে সুযোগ না দেওয়া গেলে, দীনেশ কার্তিককে স্কোয়াডে রাখার মানে হয় না, এমনটাই মত যুবির। কার্তিকের ক্ষেত্রে বয়সটা ফ্যাক্টর বলেও মনে করেন। ঋষভ পন্থ, সঞ্জু স্যামসনরা তরুণ এবং বিধ্বংসী ফর্মেও রয়েছেন।