Fake Fielding Incident: নিয়ম না জেনেই আম্পায়ারদের সমালোচনা! শাস্তি পাবেন বাংলাদেশ কিপার?

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Nov 03, 2022 | 4:36 PM

Nurul Hasan: প্রকাশ্যে ম্যাচ অফিসিয়ালের সমালোচনা করা নিয়ে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বাংলাদেশ উইকেট কিপার নুরুল হাসান।

Fake Fielding Incident: নিয়ম না জেনেই আম্পায়ারদের সমালোচনা! শাস্তি পাবেন বাংলাদেশ কিপার?
Image Credit source: AFP

Follow Us

দীপঙ্কর ঘোষাল

বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ‘ফেক ফিল্ডিং’ (Fake Fielding) এর ঘটনায় উত্তাল ক্রিকেট বিশ্ব। বাংলাদেশ (Bangladesh) অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ম্যাচ শেষের সাংবাদিক সম্মেলনে পরিষ্কার স্বীকার করে নেন, ম্যাচ হারের জন্য নিজেদের ব্য়াটিংকেই দায়ী করেছেন। যদিও ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে সাংবাদিকদের সামনে মারাত্মক অভিযোগ করেন বাংলাদেশ উইকেটকিপার নুরুল হাসান। তাঁর দাবি, বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ‘ফেক ফিল্ডিং’ করেছেন এবং তিনি এবং ব্যাটিং সঙ্গী শান্ত সঙ্গে সঙ্গে তা দুই আম্পায়ারকে জানান। আম্পায়াররা নুরুলকে বলেন, তাঁদের চোখে এমন কিছু ধরা পড়েনি। তবে ম্যাচের কোন সময়ে এই ঘটনা ঘটেছে পরিষ্কার করতে পারেননি নুরুল হাসান। পুরো ঘটনা ব্য়খ্যা করল TV9 Bangla

কী ঘটেছিল অ্যাডিলেডের মাঠে?
নুরুল যে ঘটনার কথা বোঝাতে চাইছেন, সেটি সম্ভবত বাংলাদেশ ইনিংসের সপ্তম ওভারের। ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ে দেখা গিয়েছে ডিপ পয়েন্ট থেকে থ্রো করছেন অর্শদীপ সিং। মাঝে কোহলি ছিলেন। তিনি বলের লাইন থেকে বেশ কিছুটা সাইডে ছিলেন, ভরসা রাখেন ব্যাটিং প্রান্তে উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিকের উপরই। তাঁর দিকেই বল যাচ্ছিল। তবে ভিডিয়ো তে দেখা গিয়েছে কোহলি নন স্ট্রাইকার প্রান্তে থ্রো করার ভঙ্গি করছেন। ওই ক্লিপিং নিয়েই বিতর্কের ঝড়।

ফেক ফিল্ডিংয়ের নিয়ম কী?
আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনের ৪১.৫ ধারা অনুযায়ী, কোনও প্লেয়ার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করেন কিংবা রান নিতে বাধা দেন, সে ক্ষেত্রে সেটি অখেলোয়াড়চিত বলে ধরা হবে। আম্পায়ার যদি দেখেন, কোনও নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে, সেটিকে ডেড বল ঘোষণা করে ব্যাটিং দলকে ৫ রান পেনাল্টি হিসেবে দিতে পারেন। দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস এবং নাজমুল হাসান শান্ত রান নিতেই ব্য়স্ত ছিলেন। বিরাটের ভঙ্গি কোনও ভাবেই তাদের বাধা দেয়নি। এমন নয় যে, বিরাটের এই ভঙ্গির কারণে তাঁরা আরও একটি রান নেওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

সঙ্গাকারার ফেক ফিল্ডিংয়ের ঘটনাটি কী ছিল?
শ্রীলঙ্কার উইকেটকিপার কুমার সঙ্গাকারা এবং কুইন্টন ডি’ককের ক্ষেত্রে এমন একবার ঘটেছিল। তবে তাঁদের বিষয়টি পুরোপুরি আলাদা ছিল। থ্রো আসার অনেক আগেই বল ধরে উইকেটে লাগানোর ভঙ্গি করেন সঙ্গাকারা বা ডি’কক। রান সম্পূর্ণ হওয়ার পর বল আসে ওঁদের কাছে। সঙ্গাকারার ভঙ্গিমা আহমেদ শেহজাদকে বাধ্য করেছিল ডাইভ মারতে, দ্রুত রান সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে।

বিরাটের ক্ষেত্রে কেন ফেক ফিল্ডিং ধরা হবে না?

বিরাটের ফিল্ডিং বা থ্রো করার ভঙ্গিমাকে ফেক ফিল্ডিং হিসেবে ধরা হবে কিনা, পুরোটাই আম্পায়ারদের উপর নির্ভর করছে। বাংলাদেশের ব্যাটাররা দুই রান নিতে চেয়েছিলেন এবং তাঁরা সহজেই তা সম্পূর্ণ করেছেন। বল কিপারের কাছে জমা পড়ায়, কোনওভাবেই তৃতীয় রানের সম্ভাবনা ছিল না। নিয়ম অনুযায়ী, বিরাট কোহলি তাঁদের রান নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারণা করেছেন কিংবা বাধা দিয়েছেন কিনা এই সিদ্ধান্ত ম্যাচ অফিসিয়ালদের। কিন্তু ভিডিয়ো অন্তত তা বলছে না। ফলে বিরাটের শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

কোথাকার জল কোথায় দাঁড়াল?
বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা এই নিয়ে আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছিল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই নিয়ে আইসিসিকে অভিযোগ জানাবে। যদিও অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ বোর্ডের এক কর্তার কথা অনুযায়ী, তারা ক্রমশ পিছু হটছে। উল্টে, প্রকাশ্যে ম্যাচ অফিসিয়ালের সমালোচনা করা নিয়ে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বাংলাদেশ উইকেট কিপার নুরুল হাসান।

Next Article