রাজকোট: তাঁদের গতিতে কাত তাবড় তাবড় ব্যাটাররা। ২২ গজে তাঁরা নামলেই গতির ঝড় তোলেন। দু’জনই দেড়শোর বেশি গতিতে হাসতে হাসতে বল করেন। কথা হচ্ছে প্রোটিয়া তারকা জোরে বোলার অনরিখ নর্টজে (Anrich Nortje) ও ভারতের নয়া পেস সেনসেশন উমরান মালিক (Umran Malik)। ক্রিকেটমহলে কান পাতলে এই দু’জনের গতি নিয়ে রীতিমতো চর্চা শোনা যায়। চলতি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) টি-২০ সিরিজে ভারতীয় স্কোয়াডে রয়েছেন উমরান। কিন্তু এখনও অবধি ভারতীয় জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি উমরানের। তবে তাঁর সঙ্গে নর্টজের যে তুলনা চলে, সেই প্রসঙ্গে এ বার মুখ খুললেন প্রোটিয়া তারকা ক্রিকেটার।
আজ, শুক্রবার রাজকোটে উমরানের অভিষেক হয় কিনা সেদিকে নজর থাকবে। তবে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে নর্টজে বলেছেন, “উমরান বেশ ভালো বোলার। ও খুব জোরে বলও করতে পারে। আমরা সবাই মাঠে সেটা দেখেছি। যদি ও আরও জোরে বল করতে পারে তা হলে সেটা কিন্তু নিঃসন্দেহে খুবই ভালো। আমি নিজেও জোরেই বল করতে চাই। তবে শুধুমাত্র জোরে বল করলেই কিন্তু হবে না। একই সঙ্গে দলকে ম্যাচও জেতাতে হবে।”
২০২০ সালের আইপিএলে অনরিখ নর্টজে ঘণ্টায় ১৫৬.২ কিমি গতিবেগে বল করেছিলেন। চলতি বছরের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে উমরান ১৫৬.৯ কিমি গতিবেগে বল করে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন। তবে আইপিএল-১৫-র ফাইনালে সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে গুজরাত টাইটান্সের লকি ফার্গুসন কিন্তু উমরানের সেই সব থেকে বেশি গতিতে বল করার রেকর্ড ভেঙে দেন। ফার্গুসন ফাইনালে ১৫৭.২ কিমি গতিবেগে বল করেছিলেন।
নর্টজে বলেন, “এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি ভাবছি না, কে বেশি গতিতে বল করছে। দলের জন্য আমি কী অবদান রাখতে পারি সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যখন ট্রেনিং চলে, যখন আপনি খেলছেন না, আপনি স্বাভাবিকভাবেই ভাববেন যে আপনি কীভাবে আপনার কাজ, আপনার ট্রেনিং, আপনার জিম, বা আপনি যা কিছু করছেন তার সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেবেন। তাই আমার মনের মধ্যে অনেক কিছু চললেও, আমি যখন মাঠে যাই তখন আমি এই নিয়ে ভাবি না।”
গত বছরের টি-২০ বিশ্বকাপের সময় চোট পেয়েছিলেন নর্টজে। সেই চোট সারিয়ে এখনও ফিট নর্টজে। তবে নিজের বোলিংয়ে আরও উন্নতির জায়গা রয়েছে বলেই মনে করেন প্রোটিয়া তারকা। তিনি বলেন, “এখনও আমি নিজের বোলিং নিয়ে খেটে চলেছি। আমি পুরোপুরি সুস্থ নই। আমি ধীরে ধীরে নিজের বোলিং নিয়ে কাজ করছি। ফিটনেসের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনোটাই আমার মূল লক্ষ্য। ছোটখাটো বদল করা এখনও বাকি রয়েছে।”