মুম্বই : প্রথম ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জেতায় কিছুটা চাপ ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে। যদিও নেট রান রেটের দিক থেকে দিল্লিকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি মুম্বই। ফলে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে সহজ হিসেব দাঁড়ায়, ম্যাচ জিতলেই সরাসরি ফাইনাল। সেই লক্ষ্যই পূরণ হল। স্পিনারদের দাপটে ইউপি ওয়ারিয়র্সকে ১৩৮-৬ স্কোরেই আটকে রাখে দিল্লি। রান তাড়ায় অধিনায়ক মেগ ল্যানিং-শেফালি ভার্মা জুটির বিধ্বংসী শুরু, দিল্লির কাজ কিছুটা হলেও সহজ করে। পাওয়ার প্লে-তেই ১ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। পাওয়ার প্লে-র পরই দ্বিতীয় ধাক্কা। আউট জেমাইমা। যদিও রিপ্লে-তে ধরা পড়ে ব্য়াটে লেগেছিল বল। রিভিউ নিলে দ্বিতীয় উইকেট পড়ত না দিল্লির। সপ্তম ওভারেই অধিনায়ক মেগ ল্যানিংয়ের উইকেটও হারায় দিল্লি। এখানেই চাপে বাড়ে। তবে অ্যালিস ক্য়াপসির অলরাউন্ড পারফরম্য়ান্স চাপ মুক্ত করল। ৫ উইকেটে জিতে সরাসরি ফাইনালে দিল্লি। ইউপি ওয়ারিয়র্স বনাম দিল্লি ক্য়াপিটালস ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
ওয়ারিয়র্স বনাম দিল্লি ম্যাচে নজর ছিল মুম্বই শিবিরেরও। কেন না, দিল্লি হারলে শীর্ষে থেকে সরাসরি ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। প্রথম লেগের ম্যাচে ইউপি ওয়ারিয়র্সকে সহজেই হারিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। স্পিনারদের চোখ ধাঁধানো পারফরম্য়ান্স। দিল্লিকে চাপে ফেলে ফিল্ডিং। চারটি ক্য়াচ ফসকায় তারা। সবচেয়ে দামি অবশ্যই তাহিলা ম্যাকগ্রা। তাঁর অপরাজিত ৫৮ রানের সৌজন্যেই ১৩৮-৬ স্কোর অবধি পৌঁছায় ইউপি ওয়ারিয়র্স। দিল্লির হয়ে তিন উইকেট অ্যালিস ক্য়াপসির।
রান তাড়ায় দিল্লির কাজ সহজ করে ওপেনিং জুটি। যদিও সপ্তম ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে সাময়িক চাপে পড়ে দিল্লি। বোলিংয়ের পর ব্য়াটিংয়েও ভরসা দিলেন অ্যালিস ক্য়াপসি। তাঁর আক্ষেপ থাকতেই পারে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে পারলেন না। তবে ক্যাপসির ৩১ বলে ৩৪ রান এবং মারিজান কাপের সমসংখ্যক বল ও রানের অপরাজিত ইনিংস, ১৩ বল বাকি থাকতেই জয় ও ফাইনাল নিশ্চিত হয় দিল্লি ক্য়াপিটালসের। প্রথম ফাইনালিস্ট হিসেবে নিশ্চিত দিল্লি। এলিমিনেটরে খেলবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং ইউপি ওয়ারিয়র্স। বিজয়ী দল ফাইনালে দিল্লির সামনে।