মেলবোর্ন: গত তিনটে বছর ধরে টানা সমালোচনা শুনতে হয়েছে তাঁকে। সেঞ্চুরি না পাওয়া, টিমকে টানতে না পারা, ক্যাপ্টেন হিসেবে ব্যর্থতা— অনেক কিছু গিয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। একটা ম্যাচ যেন রাতারাতি আলোয় ফিরিয়ে দিল বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli)। হারানো সাম্রাজ্য আবার ফিরে পেলেন তিনি। পাকিস্তানের (India vs Pakistan) বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো নট আউট ৮২ তাঁকে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে স্টারডম। পাকিস্তানের মুঠোয় চলে যাওয়া ম্যাচ যে একাই কিং কোহলি জিতিয়ে দেবেন, কেউই ভাবেননি। তিনি নিজেও শুরুতে কিছুটা টেনশনে ছিলেন। আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। ধীরে ধীরে নিজেকে তুলে নিয়ে গিয়েছেন সেরা ফর্মে। সেই বিরাটই শোনালেন তাঁর ইনিংস ঘিরে এক নতুন গল্প। TV9 Bangla তুলে ধরল তাই।
১৬০ রান তাড়া করতে গিয়ে ৩১ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। বিরাট তখন ২১ বলে ১২ রান করে ক্রিজে ছিলেন। স্লো ব্যাটিং করছিলেন। পাওয়ার প্লে খুব একটা কাজে লাগাতে পারেননি। বিরাট বলেছেন, ‘যখন ২১ বলে ১২ রানে ব্যাট করছিলাম, তখন মনে হয়েছিল, খেলাটা আমিই ঘেঁটে ফেলছি। গ্যাপ শট নিতেও পারছিলাম না। কিন্তু কারও যখন অভিজ্ঞতা থাকে, একটা ম্যাচকে টেনে নিয়ে যাওয়ার মূল্য বোঝে, তখন কাজটা খানিকটা সহজ হয়। এই কাজটাই কিন্তু আমি ভারতের হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে করে আসছি। আমি খুব ভালো করে জানতাম, ইনিংসটা টেনে নিয়ে যেতে পারলে শেষ দিকে বড় শট নিতে পারব।’
হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ১১৩ রানের জুটিটাই ফারাক গড়ে দিয়েছিল। ভারতের ম্যাচ জেতার টার্নিং পয়েন্ট ওটাই। বিরাটও মেনে নিচ্ছেন, ‘ওই পরিস্থিতিতে আমি প্রবল চাপে ছিলাম। কিন্তু হার্দিক এসেই যখন বাউন্ডারি মারতে শুরু করল, চাপটা কমে গিয়েছিল। আমাদের পার্টনারশিপটা কখন যে ১০০ পার করে গিয়েছিল, বুঝতেই পারিনি। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে যাচ্ছিলাম। রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের শরীরীভাষাও পড়ার চেষ্টা করছিলাম। খুব ভালো করে জানতাম, ওদের মনের উপর একটা সময় চাপ পড়বেই। সেটাই হয়েছিল।’
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে আগামী বৃহস্পতিবার ভারতের পরের ম্যাচ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত শুরু নিশ্চিত ভাবেই ভারতীয় টিমের আত্মবিশ্বাস অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিধ্বংসী ফর্মই ধরে রাখতে চাইছেন বিরাট কোহলিরা।