ইন্দোর: ‘লাজে রাঙা হলো কনে বউ গো’…. আরতি মুখোপাধ্যায়ের এই জনপ্রিয় গানের সঙ্গে একটু হলেও মিল পাওয়া গেল ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে। বোঝা গেল? স্টেডিয়ামে কোথা থেকে কনে বউ? প্রশ্নটা মাথায় আসতে বাধ্য। না কোনও কনে বউ আসেনি ইন্দোরের স্টেডিয়ামে। তবে লাজে রাঙা হলেন একজন। তিনি আর কেউ নন, টিম ইন্ডিয়ার তরুণ তুর্কি শুভমন গিল (Shubman Gill)। ঘুরে ফিরে আবার আলোচনার কেন্দ্রে ২৫ বছর বয়সী ভারতীয় তারকা ওপেনার। সঙ্গে রয়েছেন দুই সারা। সচিনকন্যা সারা তেন্ডুলকর ও সইফ কন্যা সারা আলি খান। শুভমন কি আদৌ মন দিয়েছেন কোনও সারাকে? প্রশ্ন রয়েছে ঠিকই, উত্তরের টিকিটিও সামনে নেই। নেটিজ়েনরা শুভমনের সঙ্গে সারার নাম জুড়ে দিয়ে রীতিমতো মজা পাচ্ছেন, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। হোলকার স্টেডিয়ামে ভারত-নিউজিল্যান্ড ওডিআই সিরিজের শেষ ম্যাচ চলাকালীন গিল বাউন্ডারি লাইনের সামনে যখন ফিল্ডিং করছিলেন, তখন স্টেডিয়াম থেকে সমবেত কণ্ঠে কয়েকজন দর্শক বলতে থাকে সারার নাম। যা শুনে একদিকে লজ্জা পেয়ে যান গিল। তবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। এই ঘটনায় একজনের প্রতিক্রিয়া রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। যিনি আর কেউ নন, বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
ভারতীয় তারকা ওপেনার গিল হোলকার স্টেডিয়ামে কিউয়িদের বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচ চলাকালীন, বাউন্ডারি লাইনের সামনে ফিল্ডিং করছিলেন। সেই সময়, দর্শকাসন থেকে অনেকেই একসঙ্গে বলে ওঠে, “হামারি ভাবি ক্যায়সি হো? সারা ভাবি জ্যায়সি হো…।” যার বাংলা তর্জমা করলে অর্থ দাঁড়ায়, “আমাদের বৌদি কেমন হবে? সারা বৌদির মতো হবে।” যা শুনলেও এড়িয়ে যান গিল। তবে বিরাট কোহলি ওই সারা, সারা রব শুনে চুপ থাকতে পারেননি। মাঠের মধ্যেই হেসে লুটোপুটি খান কোহলি।
গিলকে উদ্দেশ্য করে সারা…সারা রব ওঠে, তখন ৩০ গজ ভেতরে ফিল্ডিং করছিলেন বিরাট কোহলি। তাঁর কানে “হামারি ভাবি ক্যায়সি হো? সারা ভাবি জ্যায়সি হো…।” এই স্লোগান কানে আসতেই হেসে ফেলেন বিরাট। আর তাঁর প্রতিক্রিয়া নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় নেয়নি।