বেঙ্গালুরু: শুধু বর্তমান নয়, বছরের পর বছর। পাকিস্তানের বোলিং যে কোনও প্রতিপক্ষর কাছে ত্রাস। ঈর্ষারও বিষয়। এ বারের বিশ্বকাপেও পাকিস্তানকে শেষ চারের দৌড়ে রাখা হচ্ছিল। প্রথম দু-ম্যাচে তাদের জয়ের পর ফেভারিটও ধরা হয়েছে। যদিও পরপর দু-ম্যাচ হেরে স্ক্যানারে পাকিস্তান। যে বিষয়টাকে তাদের শক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছিল, আদতে সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বলেছিলেন, তাঁদের প্রধান শক্তি বোলিং। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর বোলিংকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। পাকিস্তানের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলও যেন এটাই বলতে চাইছেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
পাকিস্তানের ব্যাটিং-বোলিং কোনও বিভাগই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছে না। ভারতের বিরুদ্ধে ১৫৫-২ থেকে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান ব্যাটিং। তেমনই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬২ রানে হারে ভিলেন বোলিং। অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৩৬৭ রান তোলে। মিডল অর্ডার আর একটু ভালো খেলতে পারলে স্কোর ৪০০ পেরিয়ে যেত। শাহিন আফ্রিদি এই ম্যাচে ৫ উইকেট নিলেও ততক্ষণে অজিদের ভিত মজবুত হয়ে গিয়েছে। টানা দুটি হারের পর পাকিস্তানের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল বলছেন, ‘গত দুটি ম্যাচের পর একটা প্রসঙ্গই উঠে আসছে, পার্টনারশিপ হচ্ছে না। যেটা ভারত করতে পারছে। আমরা পারছি না।’
মর্কেলের ইঙ্গিতটা মূলত বোলিংয়ের ক্ষেত্রেই। ভারতীয় বোলিং পার্টনারশিপে হয়। বুমরা-সিরাজ, কখনও সিরাজ-হার্দিক বা বুমরা-হার্দিক। তেমনই স্পিন আক্রমণে জাডেজা-কুলদীপ। এক প্রান্ত থেকে চাপ তৈরি করা হলে অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট আসে। মর্কেল আরও বলেন, ‘বোলিংয়ে আমরা একদমই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছি না। ১৯ তারিখ ট্রফি (বিশ্বকাপ ফাইনাল) তুলতে হলে, বোলিংয়ে দু-প্রান্ত থেকেই ধারাবাহিক হতে হবে।’
টুর্নামেন্টের আগে নাসিম শাহর ছিটকে যাওয়াটা পাকিস্তান টিমে বড় ফাঁক তৈরি করেছে বলে মনে করেন বোলিং কোচ। নাসিম না থাকায় নতুন বলে সে ভাবে কার্যকর হয়ে উঠতে পারছেন না শাহিন আফ্রিদি! পাকিস্তানের প্রোটিয়া বোলিং কোচ তেমনই মনে করেন।