লন্ডন: চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ‘দ্য আল্টিমেট টেস্ট’। ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে ভারতের প্রয়োজন ৪৪৪ রান। লক্ষ্য নিঃসন্দেহে কঠিন। এখান থেকে ভারতের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল জেতা মানে মিরাকল ছাড়া কিছুই নয়। গাবা টেস্টের মতো আরও এক মিরাকলের আশা করতেই পারে ভারত। সেদিন ঋষভ পন্থ মোর্চা সামলেছিলেন। তাঁর অভাব অনুভূত হবে প্রতিমুহূর্তে। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া রান টপকাতে হলে রানের গতি দ্বিগুণ করতে হবে। না হলে ড্র একমাত্র আশা। তাতেও যুগ্মভাবে বিশ্ব টেস্টের গদা উঠবে রোহিত শর্মার হাতে। সেক্ষেত্রে ভারতের অস্ত্র হতে পারে ব্লকাথন। ২০১৫ সালে স্মৃতি ফিরিয়ে তাহলে কি ওভালে ব্লকাথনের সাহায্য নেবেন চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলিরা?
ব্লকাথন হল ব্লকিং ম্যারাথন ইনিংস। ক্রিজ কামড়ে পড়ে থেকে বিরক্তিকর ইনিংস খেলে যাওয়া। ২০১৫ সালে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা দিল্লি টেস্ট বাঁচানোর জন্য ব্লকাথন ইনিংস খেলেছিলেন হাসিম আমলা ও এবি ডিভিলিয়ার্স। টি-২০-র ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের যুগে প্রায় ১০ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ধরে ব্যাট করেছিলেন দুই প্রোটিয়া ব্যাটার। সারা দুনিয়া ডিভিলিয়ার্সকে মারকুটে ব্যাটার হিসেবে চেনে। তিনি ২৯৭ বলে ৪৩ রান! হাশিম আমলার ২৪৪ বলে ২৫ রান। ৪৮১ রানের লক্ষ্যে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৩ ওভার ব্যাট করেছিল। পরাজয় এড়াতে না পারলেও হার না মানা লড়াই প্রশংসিত হয়েছিল। ওভালে ৪৪৪ রানকে সামনে রেখে টেস্ট ড্র করতে হলে অন্তত ১৩৭ ওভার টিকে থাকতে হবে ভারতকে। দিনটা কোনওরকমে উতরে দেওয়া। দেড়দিন ধরে ব্যাট করে সেটুকু করতে পারলে ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের সমান হবে বইকি। দীর্ঘ দু’মাস ধরে আইপিএল খেলে ক্লান্ত বিরাট-রোহিতরা তেমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, চোয়ালচাপা লড়াই দেওয়ার ধৈর্য দেখাতে পারবেন?
আবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো চ্যাম্পিয়নের ট্রফি হাতে তুলতে হলে ইতিহাস গড়তে হবে ভারতকে। টেস্টের ইতিহাসে সর্বাধিক রান চেজের রেকর্ড রয়েছে ২০০৩ সালে। স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের সামনে ৪১৮ রানের বড় লক্ষ্য রাখে অজিরা। ব্রায়ান লারার ৬০, রামনরেশ সারওয়ান ও শিবনারায়ণ চন্দ্রপলের দুরন্ত সেঞ্চুরিতে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাধিক রান তাড়া করে জেতার নজির গড়ে। ভারতের লক্ষ্যটা আরও বড়।
টেস্টের ইতিহাসের সর্বাধিক রান চেজ