AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জেনে শুনে সৌরভকে বিপদে ফেলা! বিদেশের হোটেলে কী ঘটে মহারাজের সঙ্গে?

কেউ কেউ আবার তা নিজে চোখে দেখেছেন বলেও দাবি করেন। তবে সেই উপলব্ধি হয়েছিল সৌরভেরও। আজ তাঁর ৫৩ তম জন্মদিনে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিদেশের বুকে কী ঘটেছিল সকলের প্রিয় দাদার সঙ্গে। 

জেনে শুনে সৌরভকে বিপদে ফেলা! বিদেশের হোটেলে কী ঘটে মহারাজের সঙ্গে?
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2025 | 2:10 PM
Share

ভূতের কবলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? না, গল্প কথা নয়, রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন সৌরভ। ‘দাদাগিরি’র সঞ্চালনা করার সময় এক প্রতিযোগীকে এই গল্প বলেছিলেন সকলের প্রিয় ভারতীয় ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক। ভূতে কম বেশি অনেকেই বিশ্বাস রাখেন। কেউ কেউ আবার তা নিজে চোখে দেখেছেন বলেও দাবি করেন। তবে সেই উপলব্ধি হয়েছিল সৌরভেরও। আজ তাঁর ৫৩ তম জন্মদিনে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিদেশের বুকে কী ঘটেছিল সকলের প্রিয় দাদার সঙ্গে।

‘দাদাগিরি’-র মঞ্চে দাঁড়িয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন,  “২০০৫ ইংল্যান্ডে লামলে ক্যাসেল নামে একটি হোটেলে আমি ছিলাম। সাধারণত ইংল্যান্ডে পুরোনো ক্যাসেলগুলোকেই হোটেল তৈরি করা হয়। সেখানেই একটি বড় ঘরে আমায় থাকতে দেওয়া হয়। ইংল্যান্ডে তারপরের দিন ডে-নাইট খেলা ছিল। আমি সাধারণত আলো জালিয়ে ঘুমতে পারি না। ফলে সমস্ত আলো বন্ধ করে আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। হঠাৎ রাত ১১টায় দেখি বাথরুমের সব কলগুলো খুলে গেল।”

নাহ, এ কোনও সিনেমার গল্প নয়। সৌরভ বলে চলেন সেদিন রাতে ঠিক কী ঘটে? সৌরভের কথায়, “প্রথমে ভাবি তাড়াহুরোতে আমি হয়তো বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছি। তাই সব জল পড়ে যাচ্ছে। আলো জালিয়ে বাথরুমে গিয়ে সমস্ত কল বন্ধ করে দিয়ে এসে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। আবার রাত চারটের সময় ঘুম ভেঙে যায়। দেখি সমস্ত কল খোলা। আমি এবার উঠলাম। প্রথমেই দেখলাম কলগুলো আলগা কি না, দেখলাম, নাহ, সবই তো ঠিকই আছে। তখন হোটেলের রিসেপশনে ফোন করলাম। ভোর চারটের সময়ই। সবটা জানিয়ে জিক্ষেস করলাম, কল কি খারাপ, নাকি অন্য কোনও সমস্যা রয়েছে? কল খুলে যাচ্ছে কেন? ফোনের ওপার থেকে জানান হল, নানা, সব ঠিক আছে। রাতে জলের একটু অভার ফ্লো থাকে, তাই হয়তো খুলে যাচ্ছে।”

সেই কথা বিশ্বাস করে তিনি আবারও ঘুমিয়ে পড়েন। বলেন, “আমি এসে ঘুমিয়ে পড়েছি। তারপর সকাল হয়েছে, আমি একটু দেরি করে উঠেছি। রাতে ভাল ঘুম হয়নি। ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে আছি, ডিউটি ম্যানেজার এলেন, বললেন, স্যার আপনার ঘরটা কি পাল্টে দেব? আমি বললাম কেন, এটা বড়ঘর। ভাল ঘর। আমার লাগবে না। তখন বলছেন, আমরা এই ঘরটা কাউকে দিই না। আসলে হোটেল ভর্তি ছিল। আর ঘর ছিল না। আপনি ক্যাপটেইন, তাই আপনাকে দিলাম, টিম মিটিং হয়, দরকার পড়তে পারে।১৪ বছর আগে এখানের মালিক এই ঘরেই মারা গিয়েছিলেন। আমি ওর দিকে কিছুক্ষণ তাকালাম। ভাবলাম, ও কি বোকা, জানে এখানে ভূত, একটা মানুষকে থাকতে দিয়ে দিলেন…।”

সবটা  শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সৌরভ। যদিও সেদিন রাতেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে অন্য ঘর দিয়ে দেওয়া হয়।