দীপঙ্কর ঘোষাল : এ বারের আইপিএলের শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাই সুপার কিংসের। গুজরাট টাইটান্সের কাছে অ্যাওয়ে ম্য়াচে হার। ব্য়ক্তিগত ভাবে দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্স করেছিলেন সিএসকের তরুণ ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। মাত্র ৫০ বলে ৯২ রান করেছিলেন ঋতুরাজ। ৮ রানের জন্য় শতরান হাতছাড়া হয় তাঁর। উল্টোদিক থেকে ব্যাটিংয়ে তেমন সহযোগিতা পাননি। যে কারণে ঋতুর রানেও বড় স্কোর গড়তে ব্য়র্থ চেন্নাই সুপার কিংস। ২০১৯ সালের পর ফের চেন্নাইতে ম্যাচ খেলতে চলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। সিএসকে সমর্থকদের কাছে দারুণ মুহূর্ত। তেমনই প্লেয়ারদের কাছেও। দীর্ঘ সময় ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ না পাওয়ায় যেন স্ফূর্তি পাচ্ছিলেন না। আজ আইপিএলে চিপকে সিএসকের প্রতিপক্ষ লখনউ সুপার জায়ান্টস। লখনউ হোম ম্য়াচে ৫০ রানের জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে। কাইল মেয়ার্স এবং মার্ক উডের ভয়ঙ্কর সুন্দর পারফরম্য়ান্স ছিল। চেন্নাই সুপার কিংস বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্য়াচ প্রিভিউ TV9Bangla-য়।
সিএসকে ঘরের মাঠে ফেরায় প্রশ্ন, চিপকে কি স্পিন সহায়ক পিচ হবে? সম্প্রতি ভারত-অস্ট্রেলিয়া ওডিআই ম্য়াচ খেলেছে চিপকে। প্রথমে ব্য়াট করা দল সুবিধা পেয়েছে। পরের দিকে ব্য়াটিং আরও কঠিন হয়। যদিও টি-টোয়েন্টিতে পরিস্থিতি পুরোপুরি আলাদা। তবে অতীতেও দেখা গিয়েছে, স্পিন সহায়ক পিচই বানায় চেন্নাই সুপার কিংস। সেক্ষেত্রে চেন্নাই শিবিরে এই ম্য়াচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন রবীন্দ্র জাডেজা, মইন আলি। চেন্নাইয়ের মূল চিন্তা অবশ্য় মিডল অর্ডার ব্য়াটিং। প্রথম ম্য়াচে ঋতুরাজের ইনিংস সত্ত্বেও সিএসকে মাত্র ১৭৮ রান করে। অথচ মঞ্চ তৈরি ছিল প্রায় ২০০ রানের। অম্বতি রায়ডুর ব্য়াটিং নিয়েও প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। চেন্নাই সুপার কিংস এ বারের মিনি অকশনে নিয়েছিল অজিঙ্ক রাহানেকে। চেন্নাইয়ের ইনিংস হোল্ড করার মতো কাউকে প্রয়োজন। যিনি লম্বা ইনিংস খেলতে পারবেন। রাহানেকে একাদশে এনে সেই লক্ষ্য় পূরণ হতে পারে সিএসকের।
ঘরের মাঠে নজর থাকবে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির দিকেও। প্রথম ম্য়াচের আগে ধোনির পায়ের চোট নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। ধোনি অবশ্য় খেলেন। শেষ দিকে তাঁর ৭ বলে ১৪ রানের ক্য়ামিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ম্য়াচে একটি ডাইভ দিতে গিয়ে আবারও চোট লাগে ধোনির। তবে ঘরের মাঠে ধোনি নামবেন, বলাই যায়। উল্টো দিকে, লখনউ সুপার জায়ান্টস প্রথম ম্য়াচে জিতলেও তাদের ব্য়াটিং নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। কাইল মেয়ার্স এবং নিকোলাস পুরানের ব্য়ক্তিগত নৈপুণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল বড় রান পাননি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানের খরা চলছিল রাহুলের। আইপিএলেও সেই ধারা চললে চাপ বাড়তে বাধ্য় রাহুলের। নেতৃত্বের দিক থেকে অবশ্য় প্রথম ম্য়াচেই নজর কেড়েছেন। প্রথম ম্য়াচে লখনউয়ের স্পেশাল পারফরম্য়ান্স ছিল মার্ক উডের। এক্সপ্রেস গতিতে দিল্লি ক্য়াপিটালসে কাঁপন ধরান। চেন্নাইতেও কি এমন হবে? প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে মরিয়া থাকবেন মার্ক উডও।