দীপঙ্কর ঘোষাল : একটা জয় শিবিরের পরিবেশই বদলে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এ বারের আইপিএল শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে মাত্র ৭ রানে হার। কেকেআর অবশ্য বারবার বলে আসছিল ইতিবাচক ক্রিকেটের কথা। বৃষ্টি না হলে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জিততে পারত বলেই আশা ছিল কেকেআরের। দীর্ঘ সময় ঘরের মাঠে ফেরা এবং প্রবল চাপ নিয়ে মাঠে নামা। প্রতিপক্ষ ছিল রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কলকাতা ইনিংসেরই যেন দুটি ভাগ দেখা গিয়েছিল। ১২ ওভারে ৮৯ রানে ৫ উইকেট হারানো কলকাতা ২০০-র উপর স্কোর গড়ে। শার্দূল ঠাকুরের ২৯ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, রহমানুল্লা গুরবাজের অর্ধশতরান, রিঙ্কু সিংয়ের অবদান। ম্য়াচের বাকি সময় স্পিনত্রয়ীর দাপট। ঘরের মাঠে বিরাট কোহলি-ফাফ ডুপ্লেসিদের ৮১ রানে হারানো আত্মবিশ্বাসী করেছে কেকেআরকে। ভালোর মধ্যেও অস্বস্তি রয়েছে কেকেআর শিবিরে। টপ অর্ডার ব্য়াটিং। আইপিএলে গুজরাট টাইটান্স বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্য়াচ প্রিভিউ TV9Bangla-য়।
ইডেনে আরসিবির বিরুদ্ধে জিতলেও প্রথম দু-ম্য়াচেই হতাশ করেছে টপ অর্ডার ব্য়াটিং। শ্রেয়স আইয়ারের ছিটকে যাওয়া, সাকিব আল হাসানের সরে দাঁড়ানো কেকেআর শিবিরে বড় ধাক্কা ছিল। সাকিবের পরিবর্ত হিসেবে ইতিমধ্যেই জেসন রয়কে সই করিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আমেদাবাদে টিমের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জেসন রয়। তাঁকে সই করানোর দিনই কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, আদর্শ ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার হতে পারেন জেসন রয়। তার জন্য় অবশ্য সমস্য়াও রয়েছে। কেকেআর পরে ব্য়াট করলে ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার হিসেবে রয়কে নামাতে প্রথম একাদশে তিন বিদেশি রাখতে হবে। প্রথমে ব্য়াট করলেও কোনও এক বিদেশিকে বাদ দিতেই হবে। রহমানুল্লা গুরবাজ দারুণ ছন্দে। সুনীল নারিন কিংবা রাসেলকে বসানো হবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। টিম সাউদির মতো পেসারকে বাদ দেওয়া ঝুঁকির। রয় এলেও যেন স্বস্তি নেই।
গত বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স প্রথম দু-ম্য়াচেই জিতেছে। আইপিএলে তাদের অভিষেক মরসুমেও দেখা গিয়েছিল টাইটান্স শিবিরে ম্যাচ উইনারের অভাব নেই। এ বারও সেই চিত্রই দেখা যাচ্ছে। প্রথম ম্যাচে ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমেছিলেন তরুণ ব্য়াটার সাই সুদর্শন। দ্বিতীয় ম্য়াচে সরাসরি একাদশে এবং ম্য়াচ জেতানো ইনিংস খেলেন সাই। সঙ্গ দেন বিজয় শঙ্কর, ডেভিড মিলাররা। বোলিংয়ে ভরসা দিচ্ছেন মহম্মদ সামি, রশিদ খান। কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্য়াচে চার স্পিনারের উপর নজর থাকবে। এর মধ্যে গুজরাটের রশিদ খান এবং কেকেআর ত্রয়ী সুনীল নারিন-বরুণ চক্রবর্তী ও সূয়াশ শর্মা। আমেদাবাদের পিচে প্রথম ম্য়াচে রশিদ খান সাফল্য় পাওয়ায় প্রত্যাশা করা যেতে পারে, পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন কেকেআরের তিন স্পিনারও। কেকেআর শিবিরে আরও একটা প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশের কিপার-ব্য়াটার লিটন দাস কবে দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন? আমেদাবাদ ম্যাচের পর সরাসরি কলকাতাতেই দলে যোগ দিচ্ছেন লিটন।