দীপঙ্কর ঘোষাল : টানা চার হারের পর একটা জয়। কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে অক্সিজেন জুগিয়েছে। রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরকে ঘরের মাঠে হারিয়েছিল কেকেআর। অ্যাওয়ে ম্যাচেও তাদের বিরুদ্ধে জয়। এ বার ঘরের মাঠে সামনে গুজরাট টাইটান্স। এ বারের আইপিএলে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্য়াচ হয়েছিল এই দুই দলেরই। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশাল স্কোর তাড়া করতে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষ ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা মেরে কেকেআরকে মহাকাব্যিক ম্য়াচ জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। এখন যদিও সব অতীত। তবে সেই ম্য়াচের রেশ থেকে বেরনো কঠিন। ইডেন গার্ডেন্সে আজ আরও একবার মুখোমুখি কলকাতা ও গুজরাট। এমনই একটা রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচের প্রতীক্ষা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম গুজরাট টাইটান্স ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla Sports-এ।
এ মরসুমে এখনও অবধি ৮টি ম্য়াচ খেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এর মধ্যে মাত্র তিনটি জয়। প্লে-অফে যেতে হলে টানা জয় ছাড়া বিকল্প নেই। প্রথম লেগের ম্য়াচ দেখে অবশ্য এই ম্য়াচের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা না করাই শ্রেয়। মিরাকল বারবার ঘটে না। শক্তির বিচারে অনেকটাই এগিয়ে গুজরাট টাইটান্স। তাদের দলে ভারসাম্যও বেশি। ব্যাটিং অর্ডারে শুরুতেই শুভমন গিল এবং ঋদ্ধিমান সাহা। ‘বাংলার’ ক্রিকেটার ঋদ্ধির কাছে ইডেন গার্ডেন্স হোম গ্রাউন্ড। তেমনই কেকেআরের প্রাক্তন ক্রিকেটার শুভমন। এখানকার পরিবেশ সম্পর্কে এই দু-জনের সবই জানা। ভুললে চলবে না বোলিংয়ে মহম্মদ সামির কথা। ইডেনের পিচে বাংলা হোক বা জাতীয় দল, অনেক আগুন ঝড়িয়েছেন। পাওয়ার প্লে-স্পেশালিস্ট মহম্মদ সামি এ বারের আইপিএলে বিধ্বংসী ছন্দে রয়েছেন। আর ইডেনে তিনি কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, সকলেরই জানা। ঋদ্ধিমান সাহা একটিও অর্ধশতরান করেননি। তবে তাঁর ফর্ম দুর্দান্ত। দলকে বিধ্বংসী স্টার্ট দিচ্ছেন। যার ফলে পরের দিকে রানের গতি আরও বাড়াতে পারছেন ডেভিড মিলাররা।
গুজরাট টাইটান্স টানা দুটো ম্য়াচ জিতেছে। পয়েন্ট টেবলেও ওপরের দিকে। কেকেআর শেষ ম্য়াচে জিতলেও নানা চিন্তা রয়েছে। তার মধ্যে ওপেনিং সমস্যা কিছুটা হলেও মিটেছে। এ মরসুমে প্রথম বার কেকেআরের ওপেনিং জুটি ৫০ পেরিয়েছে গত ম্য়াচে। জেসন রয়ের ধারাবাহিকতা কলকাতার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। কিন্তু চিন্তার বিষয় আন্দ্রে রাসেলের ফর্ম ব্য়াটিং ফর্ম। এ বারের প্রথম ম্য়াচে তাঁর ব্য়াটিংয়ের কিছুটা ঝলক দেখা গিয়েছিল মোহালিতে। এরপর থেকে বোলিংয়ে কিছুটা ভরসা দিলেও ব্য়াটিংয়ে প্রতি ম্য়াচেই হতাশ করেছেন। বোলিংয়ে নারিনের ধারাবাহিকতার অভাবও সমস্য়া হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও কেকেআর টিম ম্য়ানেজমেন্ট এই দু-জনকে নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয় বলেই জানালেন সহকারি কোচ। ইডেনে এ মরসুমে কেকেআর গত ম্যাচগুলি খেলেছে রাতে। এ বার বিকেলের ম্য়াচ। চ্য়ালেঞ্জ সে কারণেই বেশি। পরিস্থিতি কেমন হবে, পুরোটাই নতুন। ম্য়াচের আগের অনুশীলনও ছিল ঐচ্ছিক। ফলে হাতে গোনা ক’জন ক্রিকেটারই উপস্থিত ছিলেন। সব পজিটিভ-নেগেটিভ ভুলে, কেকেআরের অক্সিজেন গত ম্য়াচে আরসিবিকে হারানো এবং দুর্দান্ত ফিল্ডিং। আর প্রতিপক্ষ শিবিরের আতঙ্ক রিঙ্কু সিংও ছন্দেই রয়েছেন।