মুম্বই : অল্পের জন্য যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন স্মৃতি মান্ধানাও। ক্য়ামেরা বারবার তাঁর মুখে ফোকাস করছিল। কিন্তু হাসি নেই। মাত্র ১৩৬ রান তাড়া করতে নেমেও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে এমনটা প্রত্যাশিত ছিল না। অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা নিজেই ব্যর্থ। টুর্নামেন্টে এখনও অবধি উল্লেখযোগ্য কোনও ইনিংস নেই। বেশ কিছু ম্য়াচে ভালো শুরু করেও হতাশ করেছেন। স্পিনারদের বিরুদ্ধে কিছুতেই স্বস্তিতে দেখাচ্ছে না তাঁকে। এ দিনও দীপ্তি শর্মার বলে বোল্ড হলেন। ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। অথচ এই ম্য়াচেই সেরা সুযোগ ছিল তাঁর কাছে। উল্টোদিকে এলিস পেরি ছিলেন। তিনি রানের গতি ঠিক রাখতে পারতেন। স্মৃতির কাছে সুযোগ ছিল ইনিংস অ্যাঙ্কর করে রানে ফেরার। শেষ অবধি তারুণ্য়ের দাপটেই জিতেছে আরসিবি। ১৯-২০’র রিচা ঘোষ ও কনিকা আহুজা জুটি জেতালেন আরসিবিকে। ম্য়াচ শেষে স্মৃতি মান্ধানার মুখে তাঁদেরই স্তুতি। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
আরসিবি অধিনায়ক ম্য়াচ শেষে বলেন, ‘আমরা প্রচণ্ড চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু কনিকা ও রিচার জুটি আমাদের স্বস্তি দিয়েছে। কনিকার জন্য গর্ব হচ্ছে। আমার যতদূর মনে পড়ে, ক্যামেরাও বারবার আমার মুখ ধরছিল। আমি কতটা চাপে রয়েছি, সেটা দেখিয়েছে। শুরুর দিকে সত্যিই স্নায়ুর চাপে ভুগছিলাম। অবশেষে টুর্নামেন্টে প্রথম জয় পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। তবে আবারও বলতে হবে কনিকা ও রিচার কথা। ওরা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। কনিকার খেলার ধরণ মুগ্ধ করেছে। ভারতীয় প্লেয়াররা টেকনিকের দিক থেকে খুবই ভালো হয়। ও যেভাবে দাপুটে ব্য়াটিং করল, তা প্রশংসনীয়। ধন্য়বাদ দিতে চাই রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স সমর্থকদের। আমরা ভালো জায়গায় নেই। তবে ওরা কিন্তু সমর্থন করে গিয়েছে। এই জয় তাঁদের জন্য়ই।’
আরসিবির জয়ের অন্য়তম নায়ক রিচা ঘোষ বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি স্বস্তি লাগছিল, বোর্ডে যখন মাত্র ১ রান বাকি। শ্রেয়াঙ্কাকে স্ট্রাইক দিয়েছিলাম। ওর হাতেই উইনিং রান আসুক এমনটাই প্রত্য়াশা ছিল। আমাদের হারানোর কিছু ছিল না। হয়তো সে কারণেই এই ম্য়াচে আলাদাই এনার্জি ছিল আমাদের। অবশেষে আমরা জয় পেলাম। টপ ফোর আউট হওয়ার পর একটা পার্টনারশিপ জরুরি ছিল। পরিকল্পনা ঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পেরেছি।’