DC vs GG, WPL Match Result: লরা-গার্ডনারের জোড়া হাফসেঞ্চুরি, আটোসাটো বোলিংয়ে হারের হ্যাটট্রিক আটকাল গুজরাট

WPL: ব্রেবোর্নে এই নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল স্নেহ রানার গুজরাট জায়ান্টস।

DC vs GG, WPL Match Result: লরা-গার্ডনারের জোড়া হাফসেঞ্চুরি, আটোসাটো বোলিংয়ে হারের হ্যাটট্রিক আটকাল গুজরাট
DC vs GG, WPL Match Result: লরা-গার্ডনারের জোড়া হাফসেঞ্চুরি, আটোসাটো বোলিংয়ে হারের হ্যাটট্রিক আটকাল গুজরাটImage Credit source: WPL Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 11:29 PM

মুম্বই: টস জিতেছিলেন মেগ ল্যানিং। ম্যাচ জিতলেন স্নেহ রানা। চলতি উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের প্লে অফ অর্থাৎ প্রথম তিনে থাকা নিশ্চিত করার জন্য স্নেহ রানার গুজরাট জায়ান্টসকে হারাতে হত দিল্লি ক্যাপিটালসকে। কিন্তু তা হল না। দু’টো পরিবর্তন করে ল্যানিংদের বিরুদ্ধে নেমেছিল গুজরাট। অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড ও সাব্বিনেনি মেঘনার জায়গায় লরা উলফার্ট ও অশ্বিনী কুমারিকে একাদশে আনেন স্নেহ। গুজরাটের কম্বিনেশন বদলের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তার প্রমাণ পাওয়া গেল। যার ফলে ১১ রানে ম্যাচ জিতে হারের হ্যাটট্রিক আটকালো গুজরাট। WPL- এ দিল্লি বনাম গুজরাটের (DC vs GG) বিস্তারিত ম্যাচ রিপোর্ট পড়ুন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।

টসে জিতে গুজরাটকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। গুজরাট এই ম্যাচের আগে অবধি তিনটি ভিন্ন ওপেনিং জুটি ব্যবহার করেছিল। দিল্লির বিরুদ্ধে জায়ান্টসের নতুন ওপেনিং জুটি দেখা গেল। অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের জায়গায় আজ একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন লরা উলফার্ট। ওপেনার সাব্বিনেনি মেঘনা রান পাচ্ছেন না বলে সোফিয়া ডাঙ্কলির সঙ্গে লরা নামেন ওপেনিংয়ে। প্রথম ওভারেই ছন্দে থাকা সোফিয়ার (৪) উইকেট তুলে নেন দিল্লির মারিজানে কাপ। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেন লরা উলফার্ট ও হরলীন দেওল। দিল্লির বিরুদ্ধে বিশেষ নজর ছিল হরলীন দেওলের দিকে। দ্বিতীয় উইকেটে লরার সঙ্গে জুটি বেঁধে হরলীন ৪৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। দশম ওভারের পঞ্চম বলে হরলীনের (৩১) উইকেট তুলে নেন জেস জোনাসন।

হরলীন ফিরলে দায়িত্ব নিয়ে জায়ান্টসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা শুরু করেন লরা ও অ্যাশলে গার্ডনার। তৃতীয় উইকেটে ৫৩ বলে ৮১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে লরা-অ্যাশলে জুটি। সুযোগ পেয়ে লরা ব্যাট হাতে জানিয়ে দিয়ে যান, তাঁকে একাদশে রেখে কোনও ভুল করেননি স্নেহ রানা। ৬টি চার, ১টি ছয় মেরেছেন লরা। গার্ডনারের সঙ্গে জুটি বেঁধে উলফার্ট ক্রমাগত চাপ বাড়াতে থাকেন দিল্লির বোলারদের। ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লরা। ১৯তম ওভারের মাথায় লরার (৫৭) উইকেট তুলে নেন অরুন্ধতী রেড্ডি। চতুর্থ উইকেটে শেষ বেলায় দয়ালান হেমলতার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের হয়ে বেশ কিছু রান করে যান অ্যাশলে গার্ডনার। ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন গার্ডনার। সুযোগ পেয়ে হাত খুলে খেলেন তিনি। তাঁর ব্যাটে এসেছে ৯টি চার। ৫১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। ২০তম ওভারের শেষ বলে হেমলতাকে ফেরান জেস। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে গুজরাট।

গুজরাট জায়ান্টস ১৪৭-৪ (২০ ওভার)

দিল্লি ক্যাপিটালস ১৩৬ (১৮.৪ ওভার)

ডব্লিউপিএলের প্লে অফ নিশ্চিত করার জন্য এই ম্যাচে দিল্লিকে তুলতে হত ১৪৮ রান। দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার শেফালি ভার্মার (৮) উইকেট তুলে নিয়ে দিল্লিকে প্রথম ধাক্কা দেন তনুজা কানওয়ের। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে আরও ২টি উইকেট হারিয়ে ফেলে দিল্লি। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক ল্যানিংয়ের সঙ্গে জুটিতে ৩৮ রান তোলেন অ্যালিস ক্যাপসি। দুই অধিনায়কের লড়াইয়ে স্নেহ জিতে যান। ল্যানিংয়ের উইকেট তুলে নেন স্নেহ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১৮ রান করে ফেরেন ল্যানিং। একই ওভারে রান আউট হয়ে ফেলেন অ্যালিস ক্যাপসি (২২)।

নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে গুজরাট। সপ্তম ওভারে জেমাইমা রডরিগজকে ফেরান কিম গার্থ। গুজরাটের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ব্যর্থ জেমাইমা। চার উইকেট হারানোর পর মারিজানে কাপ ও জেস জোনাসন জুটি চেষ্টা করেন দলের চাপ কমাতে। এই জুটি যাতে ক্রমশ ভয়ঙ্কর না হতে পারে তাই বোলিংয়ে পরিবর্তন আনেন স্নেহ। কাপ-জোনাসন জুটি ভাঙতে হরলীন দেওলের হাতে বল তুলে দেন স্নেহ। তাতেই আসে সাফল্য। ৪ রান করে ফেরেন জেস। এরপর তানিয়া ভাটিয়া আসেন ক্রিজে। ব্যাট হাতে ভালো পারফর্ম করার পর বল হাতেও ছাপ রাখার চেষ্টা করে যান গার্ডনার। তানিয়াকে ফেরান অ্যাশলে। ১৪তম ওভারে জোড়া উইকেট হারায় দিল্লি। অশ্বিনী কুমারির ডাইরেক্ট হিটের ফলে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন মারিজানে কাপ। ৩৬ রান করে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে মারিজানকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল এভাবে রান আউট হওয়ায় তিনি বেশ হতাশ। দ্রুত উইকেট হারাতে থাকা দিল্লিকে দেখে একটা সময় মনে হচ্ছিল গুজরাটের বিরুদ্ধে আটকে যাবে। আর হলও সেটাই।

নবম উইকেটে শিখা পান্ডে এবং অরুন্ধতী রেড্ডি জুটি বেঁধে তোলেন ৩৫ রান। ২৫ রানের ক্যামিও খেলে যান অরুন্ধতী। ১৮.৪ ওভারের মাথায় ১৩৬ রান তুলে গুটিয়ে যায় দিল্লি। যার ফলে ১১ রানে ম্যাচ জিতে নিল গুজরাট।