লন্ডন : ওভালে চলছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। ম্যাচের প্রথম দু-দিনের খেলা শেষে বলা যায়, চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট-বলের লড়াইয়ের মাঝে নজর কেড়েছে একটা রান আউট। ভারতের টেস্ট পারফরম্যান্স দেখলে নজরে পড়বে, প্রতিপক্ষের লোয়ার অর্ডার অনেক বেশি চাপে রাখে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অবশ্য সেটা হয়নি। ট্রাভিস হেড-স্টিভ স্মিথ জুটি ২৮৫ রান যোগ করে। সেটাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। এই দু-জন ফিরতে খুব বেশি সমস্যায় ফেলেনি লোয়ার অর্ডার। বা বলা ভালো লোয়ার অর্ডারকে সমস্যা তৈরি করতে দেননি ভারতীয় বোলাররা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে অক্ষর প্যাটেলেরও। ফাইনালের একাদশে তাঁর জায়গা হয়নি। নেমেছিলেন পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে। তাতেই কামাল। মিড অফে বল ঠেলে অ্যালেক্স ক্যারিকে স্ট্রাইক দিতে চেয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক। কিন্তু রান পূর্ণ করতে পারলেন না। অবাক হাসি রিকি পন্টিংয়ের মুখে! কারণ, তাঁর পুরনো স্মৃতি মনে পড়ছিল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports -এর এই প্রতিবেদনে।
মিড অফে রানিংয়ে বল তুলে বাঁ হাতে উইকেটে থ্রো করেন অক্ষর প্যাটেল। বোলিং প্রান্তের উইকেট ভেঙে দেন। আর এতেই কিংবদন্তি রিকি পন্টিংয়ের মনে পড়ে গ্যারি প্র্যাটের কথা। ইংল্যান্ডের মাটিতে আরও এক পরিবর্ত ফিল্ডার ডিরেক্ট থ্রোয়ে রান আউট করলেন অজি ক্রিকেটারকে। এই ছবি তাঁর চেনা। ২০০৫ সালের অ্যাসেজ সিরিজ। রিকি পন্টিংকে রান আউট করেছিলেন পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে নামা গ্যারি প্র্যাট। অক্ষর প্যাটেলের থ্রোয়ে স্টার্কের রান আউট দেখে ওই ঘটনার কথাই মনে পড়ে পন্টিংয়ের।
ওভালে দ্বিতীয় দিনের খেলায় এই মুহূর্তের সময় ক্যামেরা ধরেছিল পন্টিংকে। দিনের খেলা শেষে আইসিসি-কে পন্টিং বলেন, ‘সেই ২০০৫ সালের পর আমি যখনই যুক্তরাজ্যে আসি, প্রতিনিয়ত মনে পড়ে পরিবর্ত ফিল্ডারের সেই রান আউটের দৃশ্য। আজও যখন ঠিক একই ঘটনা হল, ভেবেছিলাম কেউ হয়তো বুঝতে পারবে না। তবে আমি নিশ্চিত, ওদের (ধারাভাষ্যকার) অন্তত ২ মিনিট লেগেছে আমার হাসির কারণ বুঝতে। আমার মনে হয়, নাসের (হুসেন) সবসময়ই কমেন্ট্রি বক্সে গ্যারি প্র্যাটের সেই উদাহরণ টানতে মজা পায়। আমিও বলতে চাই, সেই ঘটনা ভুলে গেছি। কিন্তু সত্যিটা হল, ১৮ বছর পরও ভুলতে পারিনি।’