লন্ডন : সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং আউট নাকি নটআউট। কেউ বা আম্পায়ারকে প্রতারক বলছেন। তেমনই অজি শিবিরকেও। ক্যাচ হয়েছে কিনা, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিভাজন। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের পঞ্চম ওভার। স্কট বোলান্ড বোলিং করছিলেন। গালিতে শুভমন গিলের কঠিন ক্যাচ ‘নেন’ ক্যামেরন গ্রিন। ডাইভ দিয়েছিলেন। উঠেই আত্মবিশ্বাসী দাবি, তিনি ক্যাচ নিয়েছেন। তৃতীয় আম্পায়ার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে রিপ্লে দেখেন। স্লো মোশনে ধরা পড়েছে বল ঘাস ছুঁয়েছে। সম্ভবত বলের নীচে আঙুল থাকায় তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। যদিও আঙুল আদৌ বলের নীচে ছিল কিনা, গ্রিন সরাসরি ক্যাচ নিয়েছিলেন নাকি ঘাস থেকে পুনরায় বল তুলেছিলেন, এই নিয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শুভমন গিলকে মাঠ ছাড়তে হয়। যাঁর ক্যাচ নিয়ে এত বিতর্ক, সেই ক্যামেরন গ্রিন কী বলছেন? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রথম ইনিংসে অনবদ্য ক্যাচে অজিঙ্ক রাহানে ফিরিয়েছিলেন ক্যামেরন গ্রিন। দ্বিতীয় ইনিংসে শুভমনের ক্যাচের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ক্যামেরন গ্রিন বলছেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি নিশ্চিত ছিলাম ক্যাচ নিয়েছি। সেই মুহূর্তে আমার সেলিব্রেশনেও কোনও সন্দেহ ছিল না। নিশ্চিত হয়েই সেলিব্রেট করেছিলাম। এরপর সেটা তৃতীয় আম্পায়ারের (রিচার্ড কেটেলবোরো) সিদ্ধান্ত। তিনিও আমার দাবিকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৪৪৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু ভারতের। শুভমন গিল ও রোহিত শর্মা বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। ওভার প্রতি প্রায় ৫ রান করে তুলছিলেন। শুভমন ১৮ বলে ১৮ রানে ব্যাট করছিলেন। সে সময় তাঁকে ফেরানো অস্ট্রেলিয়ার জন্য বিশাল প্রাপ্তি। ব্যাটিং, বোলিংয়ে গ্রিনের দক্ষতা আগেও দেখা গিয়েছে। ফিল্ডার গ্রিন প্রথম ইনিংসেও নজর কেড়েছেন। ক্যাচ প্রসঙ্গে গ্রিন আরও বলছেন, ‘ছেলেবেলা থেকেই ফিল্ডিংয়ে, বিশেষত ক্যাচিংয়ে বেশি জোর দিয়েছি। আমার লক্ষ্য থাকত স্লিপে দাঁড়ানো। জুনিয়র স্তরে স্লিপেই ফিল্ডিং করেছি। ওভালে প্রথম দিন সহজ একটা ক্যাচ মিস করে হতাশায় ছিলাম। এ বার একটা দারুণ ক্যাচ নিতে পেরে ভালো লাগছে।’ প্রাক্তন অজি ক্রিকেটার রিকি পন্টিংও আইসিসি রিভিউতে দাবি করেছেন, গ্রিনের ক্যাচ ক্লিন এবং আম্পায়ার সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।