RANJI TROPHY: অল্পের জন্য সচিন-মার্চেন্টের রেকর্ড ছোঁয়া হল না যশস্বীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Jun 22, 2022 | 9:21 PM

টানা চারটি শতরানের থেকে মাত্র ২২ রান দূরে থামল ইনিংস। দুই কিংবদন্তি বিজয় মার্চেন্ট এবং সচিন তেন্ডুলকরের নজির ছুঁতে পারতেন যশস্বী।

RANJI TROPHY: অল্পের জন্য সচিন-মার্চেন্টের রেকর্ড ছোঁয়া হল না যশস্বীর
অর্ধশতরানের পর যশস্বী।
Image Credit source: BCCI DOMESTIC TWITTER

Follow Us

 

বেঙ্গালুরু: চেষ্টায় খামতি নেই। তবুও বড় রান আসছে না পৃথ্বী শ’র ব্যাটে। তাঁর নেতৃত্বে মুম্বাই অবশ্য ভালো খেলছে। রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) ফাইনালে মুখোমুখি মুম্বাই ও মধ্যপ্রদেশ। প্রথম দিনের খেলায় কাউকে এগিয়ে পিছিয়ে রাখা যাচ্ছে না। তবে মুম্বাইয়ের তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সোয়ালের (Yashasvi Jaiswal) ধৈর্যশীল ইনিংসকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ফাইনালে (Final) টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বাই অধিনায়ক পৃথ্বী শ। প্রথম দিনের শেষে মুম্বাইয়ের স্কোর ২৪৮-৫। মধ্যপ্রদেশ চার বোলার ব্যবহার করেছে এদিন। বড়ে কোনও পার্টনারশিপ গড়তে দেয়নি। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে তাঁরা। ৯০ ওভারে অতিরিক্ত মাত্র ৩ রান দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ বোলাররা।

গ্রুপ পর্বে বেঞ্চেই কাটাতে হয়েছে যশস্বীকে। ওপেনার আকর্ষিত গোমেলের ব্যর্থতা সুযোগ করে দেয় তরুণ ব্যাটসম্যান যশস্বীকে। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসে খেলেন। এবার ফাইনালে উঠেও ট্রফির স্বাদ পাননি। রঞ্জি ট্রফিতে খেতাবের আশা পূর্ণ হতে পারে। রঞ্জির নকআউটে অনবদ্য ছন্দে রয়েছেন যশস্বী। গত পাঁচ ইনিংসে তাঁর স্কোর ৩৫, ১০৩, ১০০, ১৮১ এবং ৭৮। আরও একটা শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন যশস্বী। টানা চারটি শতরানের থেকে মাত্র ২২ রান দূরে থামল তাঁর ইনিংস। মুম্বাই এবং ভারতীয় ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি বিজয় মার্চেন্ট এবং সচিন তেন্ডুলকরের নজির ছুঁতে পারতেন যশস্বী। প্রায় দুটো সেশন ব্যাট করেন। এরপরই একটি ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ আউট হন। ১৬৩ বলে ৭৮ রান করেছেন যশস্বী।

মুম্বাই অধিনায়ক পৃথ্বী শ করেন ৪৭ রান। মুম্বাইয়ের বড় ভরসা সরফরাজ খান দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন। এবারের রঞ্জিতে সর্বাধিক রান তাঁরই। দিনের শেষে ৪০ রানে অপরাজিত তিনি। সঙ্গে রয়েছেন অলরাউন্ডার শামস মুলানি। বড় ম্যাচের চাপ সামলে দিনের সেরা পারফর্মার যশস্বী বলছেন, ‘লোকে অনেক কিছুই বলবে। সবাই চায় ভালো পারফর্ম করি। একই সঙ্গে চাপেও ফেলে। চাপের মুখে ভালো খেলতে পেরে আমি খুবই খুশি। এই চাপ উপভোগ করি।‘

অল্পের জন্য কিংবদন্তিদের নজির ছোঁয়া হল না। হতাশার মাঝে নিজেকে শান্ত্বনাও দিচ্ছেন মুম্বাইয়ের এই ওপেনার। বলছেন, ‘একটু হলেও খারাপ লাগছে। তবে এটাই ক্রিকেট। ভালো-খারাপ সব মিলিয়েই। ক্রাজে যতটা সম্ভব বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করেছি। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি।‘

 

Next Article