কলকাতা : দরজায় এশিয়া কাপ (Asia Cup)। শনিবার শুরু প্রতিযোগিতা। প্রধান আকর্ষণের ম্যাচ দ্বিতীয় দিন। রবিবার এশিয়া কাপে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan)। আজ বুধবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় প্রস্তুতিতে নামবে ভারতীয় দল। পাকিস্তান ইতিমধ্য়েই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আকর্ষণের কেন্দ্রে অবশ্যই সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তাঁর সাম্প্রতিক ফর্ম প্রত্যাশা জাগানোর মতো নয়। বড় মঞ্চে বিরাটের মতো ক্রিকেটারকে হিসেবের বাইরে রাখা প্রতিপক্ষের জন্য বিপজ্জনক। হতে পারে গত তিন বছর তাঁর ব্যাটে শতরান নেই। তারপরও যে কোনও প্রতিপক্ষের আতঙ্ক বিরাট কোহলিই। বাইরে যেমন তাঁকে নিয়ে সমালোচনা চলছে, বিরাট নিজেও জানেন। আর সে কারণেই বলছেন, ‘আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে না জানলে এগনো সম্ভব নয়।’
ভারত অষ্টম এশিয়া কাপ জয়ের লক্ষ্যে নামবে। তার জন্য বিরাটের জ্বলে ওঠা খুবই জরুরি। এশিয়া কাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টস। ‘গেম প্ল্যান’ অনুষ্ঠানে প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টানা জিতে আসছিল ভারত। ফরম্যাট যাই হোক। গত টি ২০ বিশ্বকাপে প্রথম ধাক্কা খায় ভারত। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হার। রবিবার বদলার ম্যাচ। ইংল্যান্ড সফরের পর দীর্ঘ বিশ্রাম কাটিয়ে ফিরেছেন বিরাট কোহলি। এখন ফর্মে ফেরার পালা। বিরাট বলছেন, ‘ইংল্যান্ডে যা হয়েছে, সেটা একটা প্যাটার্ন। আমাকে ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা খুঁজে নিতে হবে। এই মুহূর্তে ঠিক বোঝা যাবে না, সমস্যাটা ঠিক কোথায়। সুতরাং, আমার কাছে সহজ রাস্তা হল, প্রক্রিয়া মেনে এগিয়ে যাওয়া। আমিও বুঝতে পারছি, কিছু ক্ষেত্রে ভালো ব্যাটিং করছি, ছন্দে ফেরার অনুভূতি হয়েছে। ইংল্যান্ডে সেটা মনে হয়নি। আমাকে আরও পরিশ্রম করতে হবে।’
নিজের অতীত এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বিরাট কোহলি। সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই মুহূর্তে নিজের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানি। এটা থেকে পালানোর রাস্তা নেই। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ফিরে আসার একটাই পথ, পাল্টা আক্রমণ। পরিস্থিতি, ভিন্ন বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমার সামনেও এই রাস্তাই খোলা রয়েছে। অতীতকে অবহেলা করছি না। সেখান থেকে শিখতে চাইছি। একজন ক্রীড়াবিদ এবং মানুষ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দিক গুলোকে চিহ্নিত করছি। খেলায় ওঠা নামা থাকবেই। আমাকে আমার কাজটা করে যেতে হবে।’