তিরুবনন্তপুরম : গ্রিনফিল্ডের গ্রিনটপ। নতুন বলে দারুণ কাজে লাগিয়েছেন ভারতীয় পেসাররা। বল পুরনো হতে অবশ্য কিছুটা রান করতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa)। মাত্র ৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর প্রোটিয়াদের ১০০ পেরোনোই কঠিন মনে হচ্ছিল। কেশব মহারাজ ৩৫ বলে ৪১ রানের ইনিংস না খেললে, লজ্জায় পড়ত দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় ছিল ভারত। দীপক চাহার-অর্শদীপ সিংয়ের (Arshdeep Singh) সুইংয়ে কুপোকাত প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) যদি টস হারতেন? কিংবা টস জিতে ব্যাটিং নিতেন! এমন পরিস্থিতি ভারতেরও হতে পারত। এর আগে অনেক ম্যাচেই এমন হয়েছে।
বল সুইং করলেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও কিছুটা হল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নতুন বলে সমস্যায় পড়লেন ভারতীয় ব্যাটাররাও। কাগিসো রাবাডার ডেলিভারিতে ইনসুইংয়ের প্রত্যাশায় জায়গায় দাঁড়িয়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন রোহিত। পা নড়েনি, তবে বল নেড়েছে। ব্য়াটের কানায় লেগে ডি’ককের অনবদ্য ক্যাচ। বিরাট কোহলিও সুইং এবং বাড়তি বাউন্সেই কট বিহাইন্ড হলেন। লোকেশ রাহুল কেরিয়ারের সবচেয়ে মন্থর (৫৬ বলে ৫১) অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন। সূর্যকুমার যাদব এবং লোকেশ রাহুল জুটির সৌজন্যে ৮ উইকেটে জেতে ভারত। তবে পিচ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই ভারতীয় শিবিরে। অধিনায়ক রোহিত অবশ্য তেমনটাই বলছেন। তাঁর মতে, এমন পিচ থেকে অনেক ‘শিক্ষা’ পাওয়া যায়।
ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘পিচ খুবই কঠিন ছিল। এমন পিচে খেলে অনেক কিছু শেখা যায়। কঠিন পরিস্থিতিতে বোঝা যায়, কোন দিকগুলিতে উন্নতি প্রয়োজন। এখানে খেলে অনেক কিছুই শেখার সুযোগ পেলাম। পিচে ঘাস দেখেই প্রত্যাশা ছিল বোলাররা ভালো পারফর্ম করবে। তবে ২০ ওভারই পিচ থেকে বোলাররা সুবিধা পাবে এমন প্রত্যাশা ছিল না।’
বোর্ডে কম রান থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা দারুণ লড়াই করবে, এমনটাই মনে হয়েছিল রোহিতের। বলছেন, ‘পিচে আর্দ্রতা ছিল। দু-দলের কাছেই সুযোগ ছিল। আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে। দ্রুত ৫ উইকেট নেওয়াটাই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। পেসারদের জন্য সুবিধা থাকলে কেমন বোলিং করা উচিত, তার নিখুঁত উদাহরণ এই ম্যাচে আমাদের বোলিং।’