কলকাতা: একটা সময় ছিল যখন ঘরোয়া ক্রিকেটই ছিল ভারতীয় টিমে ক্রিকেটার সাপ্লাইয়ের মূল মাধ্যম। আইপিএল এসে তাতে বদল এনেছে। ভারতীয় ক্রিকেটে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। অতীতে অনেক ক্রিকেটার আইপিএলে (IPL) ভালো পারফর্ম করার সুবাদে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। সেই ধারার কথা উল্লেখ করে দেশের এক প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, এখন ভারতীয় ক্রিকেটের পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। আইপিএলে নজর কেড়ে অনেক তরুণ ক্রিকেটার জাতীয় দলে এন্ট্রির টিকিট পাচ্ছেন।
একটা সময় রঞ্জি ট্রফি, দলীপ ট্রফি, অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় টিমে খেলার পর এক ভারতীয় ক্রিকেটারের সিনিয়র টিমে এন্ট্রির সুযোগ মিলত। এখন এই লম্বা পথ অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে। ২০০৩ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় ইরফান পাঠানের। সম্প্রতি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠান ১৮০ নট আউট পডকাস্টে বলেছেন, ‘একটা সময় পরিষ্কার ছিল তুমি বরোদার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে চাও। ওই সময় সকলে জানত একটাই ভারতীয় টিম রয়েছে। আইপিএল সেই সময় ছিল না। তোমাকে রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে হবে, দলীপ ট্রফিতে খেলতে হবে বা অনূর্ধ্ব ১৯ টিমের হয়ে খেলতে হবে এবং তারপর আন্তর্জাতিক স্তরে যেতে পারবে। এই একটাই প্রক্রিয়া আগে ছিল। আর আমাদের লক্ষ্যও সেটাই ছিল। এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ওই সময় অনেক কঠিন ধাপ পেরোতে হত। আর এখন একটা আইপিএল খেলো আর ভারতীয় টিমে প্রবেশের সুযোগ পাও। বিষয়টা এমনই হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান জানিয়েছেন, চোট নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে নজর কেড়ে জাতীয় দলে নিজের জায়গা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি রঞ্জি ট্রফি ও মুস্তাক আলি ট্রফিতে চোট নিয়ে খেলেছিলাম। আমাদের কাছে যে স্ক্যানার ছিল তাতে আমার চোট ধরা পড়েনি। অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলাম আমরা। সেখানে ওদের যন্ত্রে দেখতে পাই আমার একাধিক জায়গায় চোট রয়েছে। আমি তারপরও ব্যাথা কমানোর ওষুধ খেয়ে খেলেছি। কারণ আার লক্ষ্য ছিল ভারতীয় টিমের হয়ে খেলা।’