হাসি: জাত তুলে মন্তব্য আর তার জন্যই গ্রেফতার হতে হলো ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংকে (Yuvraj Singh)। শনিবার তাকে গ্রেফতার করে হরিয়ানার হাসির পুলিশ (Police)। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিনে মুক্ত করে দেওয়া হয় যুবরাজকে। হাসি পুলিশের এসপি জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ মতই গ্রেফতার করা হয়েছিল যুবরাজকে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় জামিনে।
কিন্তু কেন গ্রেফতার হতে হল যুবরাজকে? ঘটনা বছর খানেক আগের। রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে চ্যাট করছিলেন যুবরাজ। সেখানেই ভারতীয় দলে স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালকে (Yuzvendra Chahal) নিয়ে মজার ছলেই একটি মন্তব্য করেন যুবি। সেই মন্তব্যেই তৈরি হয় বিতর্ক। তখন ছিল লকডাউন এর সময়। তাই চলতি বছরের শুরুতে যুবরাজের সেই মন্তব্য নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন, আইনজীবী রাজত কালসান।
এফআইআর-এ আইনজীবী জানিয়েছিলেন, যুবরাজের মন্তব্য দেশের দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। তাই তফশিলি জাতি ও উপজাতির রক্ষা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। যদিও না বুঝে করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে ছিলেন যুবরাজ। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে তিনি লিখেছিলেন, “আমি বুঝতে পেরেছি বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার সময় আমার মন্তব্য অনেকের মনে আঘাত করেছে। তবে কাউকে আঘাত দেওয়ার জন্য এই মন্তব্য আমি করিনি। কিন্তু একজন দায়িত্বশীল ভারতীয় হিসেবে আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। ”
হাসির ডিএসপি জানিয়েছেন, শনিবার যুবরাজ নিজে এসেছিলেন সেখানে। আদালতের নির্দেশ মতো প্রতীকী গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তারপর এক ঘন্টার মধ্যেই বেলে মুক্ত করে দেওয়া হয়।
দেশের নানান সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষরা জানিয়েছেন, যুবরাজের মতো আইকনদের একটু বুঝে শুনে কোন মন্তব্য করা উচিত। যুবরাজ হয়তো ইচ্ছাকৃত কাউকে অপমান করার জন্য কিছু বলেননি। তাই এই প্রতীকী গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে বোঝানো হলো, সমাজে প্রত্যেকেরই একটা আলাদা দাম আছে। যুবরাজ নিজেও হয়তো সেটা জানেন, এবং মানেন। তবে এই প্রতীকী গ্রেপ্তার অন্যদের উদ্দেশ্যে একটা বার্তা।