Yuvraj Singh: ধোনি যে সুযোগ পেয়েছেন সেটা সবাই পায় না, বিস্ফোরক যুবরাজ সিংয়ের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Prantik Deb

May 03, 2022 | 7:30 PM

ক্রিকেট মহলের মতে, যুবরাজ নিজের নাম না নিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, কেরিয়ারের শেষ পর্বে এসে অধিনায়ক ধোনির থেকে পর্যাপ্ত সমর্থন তিনি পাননি। বিরাট অধিনায়ক হওয়ার পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল যুবরাজের। একদিনের ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রানটাও এই সময় করেছিলেন যুবি।

Yuvraj Singh: ধোনি যে সুযোগ পেয়েছেন সেটা সবাই পায় না, বিস্ফোরক যুবরাজ সিংয়ের
দেশের জার্সিতে ধোনি ও যুবরাজ
Image Credit source: Twitter

Follow Us

মুম্বই: ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় বোর্ড (BCCI) যখন সিনিয়রদের বাদ দিয়ে তরুণ দল দক্ষিণ আফ্রিকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়, ক্রিকেট মহলের একটা বড় অংশ ভেবেছিল যুবরাজ (Yuvraj Singh) পেতে চলেছেন দেশের নেতৃত্ব। কিন্তু ছবিটা বদলে গেল ধোনির (MS Dhoni) হাতে ক্যাপ্টেন্সি ব্যাটন যাওয়ায়। যুবরাজ তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বরং ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ হোক বা ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। ধোনির মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে দিতে বড় ভূমিকাটা নিয়েছিলেন যুবরাজই। ক্যান্সার সারিয়ে যুবরাজের ফিরে আসা হোক বা তারপর দল থেকে বাদ পরা, সবটাই ধোনির ক্যাপ্টেন্সিতে। যুবরাজ এখন প্রাক্তনের তালিকায়। ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও আইপিএলের (IPL) মঞ্চে এখনও স্বমহিমায় আছেন। দ্বিতীয়বার ইয়লো ব্রিগেডের নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেছেন। ধোনির হাত ধরে জয়ের রাস্তায় ফিরেছে চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। আর এমন সময়েই বোমা ফাটালেন ধোনির বন্ধু যুবি।

একটি স্পোর্টস চ্যানেলকে দেওয়া ইন্টারভিউয়ে যুবরাজ বলেছেন, “কোচ ও অধিনায়কের সমর্থন পেলে বিষয়টা সত্যিই আলাদা হয়। ধোনির দিকে তাকিয়ে দেখুন, কেরিয়ারের একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছেও বিরাট ও রবি শাস্ত্রী ওর পাশে থেকেছে। ওকে বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেশের হয়ে ৩৫০টি একদিনের ম্যাচ খেলেছে ধোনি। আমার মতে সমর্থনটা খুব প্রয়োজনীয়, কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে সবাই এটা পায় না। গৌতম গম্ভীর, হরভজন সিং, ভিভিএস লক্ষ্মণ, বীরেন্দ্র শেহওয়াগের মতো ক্রিকেটার সেই সমর্থনটা পায়নি।”

যুবরাজের মতে, শেষ পর্যায়ে এসে বীরু, গৌতম, হরভজন, লক্ষণরা কোচ ও অধিনায়কের থেকে পর্যাপ্ত সমর্থন পাননি। “যখন আপনি মাঠে খেলতে নামছেন, তখন যদি আপনার ভিতরে টিম থেকে বাদ পড়ার আতঙ্ক থাকে, তখন আপনি নিজের সেরাটা দেবেন কি ভাবে? এটাকে আমি অজুহাত হিসেবে দেখছি না। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে এবং কোচ বদলের পর থেকে অনেক কিছু বদল হয়েছে।”

ক্রিকেট মহলের মতে, যুবরাজ নিজের নাম না নিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, কেরিয়ারের শেষ পর্বে এসে অধিনায়ক ধোনির থেকে পর্যাপ্ত সমর্থন তিনি পাননি। বিরাট অধিনায়ক হওয়ার পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল যুবরাজের। একদিনের ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রানটাও এই সময় করেছিলেন যুবি। তবে আবার জাতীয় দল থেকে নিজের জায়গা হারান। ক্রিকেট মাঠ থেকে দূরে সরে যাওয়ার পর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন যুবরাজ সিং।

 

আরও পড়ুন : IPL 2022: ‘রোহিত বাঁচিয়েছে কুলদীপের কেরিয়ার’ কে বলছেন এমন কথা ?

Next Article