Heath Streak dies : ৪৯ বছরে থামলেন, প্রয়াত জিম্বাবোয়ের কিংবদন্তি হিথ স্ট্রিক
১০০টিরও বেশি টেস্ট উইকেট নেওয়া জিম্বাবোয়ের প্রথম বোলার হিথ স্ট্রিক। নিজের সময়ের সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন তিনি।
কলকাতা : দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ। অবশেষে লড়াই থামল মঙ্গলবার। প্রয়াত জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার তথা প্রাক্তন অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯ বছর। ১০০টি উইকেটে নেওয়া জিম্বাবোয়ের প্রথম বোলার তিনি। গত মে মাসে জানা গিয়েছিল তাঁর কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। তবে চিকিৎসকরা আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রিকেট বিশ্ব। একসময়ের সতীর্থরা ও জিম্বাবোয়ের বর্তমান ক্রিকেটাররা প্রয়াত অলরাউন্ডারকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
১৯৯৩ সালে জিম্বাবোয়ের হয়ে আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেন হিথ স্ট্রিক। খেলেছেন ১৮৯টি ওডিআই এবং ৬৫টি টেস্ট ম্যাচ। টেস্ট ফরম্যাটে ২১৬টি উইকেট রয়েছে তাঁর। ওডিআইতে নিয়েছেন ২৩৯টি উইকেট। দুই ফরম্যাটেই এখনও পর্যন্ত জিম্বাবোয়ের সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহকারী বোলার হলেন হিথ। এছাড়া দুটো ফরম্যাটে ২০০ বা তার বেশি উইকেট নেওয়া একমাত্র বোলার তিনিই। ব্যাট হাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনা মাতিয়েছেন। ওডিআইতে ২৯৪৩ রান রয়েছে, নিয়েছেন ১৩টি হাফ সেঞ্চুরি। লাল বলের ফরম্যাটে রান সংখ্যা ১৯৯০। দুটি ফরম্যাটেই এক হাজার রান ও ১০০টি উইকেট নেওয়া ক্রিকেটার হলেন হিথ স্ট্রিক। ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জিম্বাবোয়ের জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন।
Sad news coming through that Heath Streak has crossed to the other side. RIP @ZimCricketv legend. The greatest all rounder we produced. It was a pleasure playing with you. See you on the other side when my bowling spell comes to an end…😔
— Henry Olonga (@henryolonga) August 22, 2023
হিথ আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ইতি টেনেছিলেন মাত্র ৩১ বছর বয়সে। অবসর নিয়ে কোচিং কেরিয়ার শুরু করেন। জিম্বাবোয়ের কোচ হয়েছিলেন ২০১৬ সালে। স্কটল্যান্ড ও বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও গুজরাট লায়ন্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বর্ণময় ক্রিকেট কেরিয়ারে দুর্নীতির কলঙ্ক লেগেছিল। আইসিসি তাঁকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।