কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
এখন আর তখন…। ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান পরিস্থিতি দেখলে মনে করায় সেই পুরনো দিন। হতাশার দিনে ২০ বছর আগের গর্বের নানা মুহূর্ত ফিরে আসছে বারবার। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আর আশিয়ান কাপ। বিদেশের মাটিতে ভারতের কোনও ক্লাবের ঐতিহাসিক ট্রফি জয় চিরস্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে। ২০০৩ সালের ২৬ জুলাই জাকার্তায় ইতিহাস তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। তাইল্যান্ডের বেক তেরো সাসানাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-হলুদ। ২০ বছর পূর্তি হবে মাস কয়েক পর। লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে তেমন সোনালি সাফল্য আর দেখা যায়নি। দু’দশক পেরিয়ে গেলেও উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে আশিয়ান জয়ের গর্ব। জাকার্তা থেকে দল কলকাতা ফেরার পর লাল-হলুদ পতাকায় মুড়ে গিয়েছিল শহরের অলি গলি। টিম ইস্টবেঙ্গলকে একসূত্রে বেঁধেছিলেন কোচ সুভাষ ভৌমিক। অত্যাধুনিক ট্রেনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ফুটবলারদের প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। ২০০০ সালের গোড়াতেই ক্লাবে জিম, জাকুজির ব্যবস্থা করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। যা তখন কল্পনাই করা যেত না। কলকাতা ময়দানে প্রয়াত কোচ সুভাষ ভৌমিকের হাত ধরেই আধুনিক ফুটবলের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। জাকার্তা উড়ে যাওয়ার আগে শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে তিনমাস আবাসিক শিবির করেছিল দল। বিদেশি ট্রেনার কেভিন জ্যাকসনকে উড়িয়ে এনেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই বছর সমস্ত ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-হলুদ। তবে সব কিছুর মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে আশিয়ান জয়ের মুহূর্ত। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
সেই আশিয়ান কাপ জয়ের অন্যতম কারিগর, কোচ সুভাষ ভৌমিকের জীবনাবসান হয়েছে গত বছর। তবে তাঁর হাত ধরেই ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল ইতিহাসে সোনালি সময় এসেছিল। ভারতীয় ফুটবলে সমসাময়িক কোচেদের থেকে তিনি কোথায় আলাদা, দেখিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর কোচিং দর্শন পাল্টে দিয়েছিল ভারতীয় ফুটবলের চিন্তা ভাবনা। ফুটবলের টেকনিক্যাল দিকের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং ডায়েট চার্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। ফুটবল বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করেই ইস্টবেঙ্গলে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। বিদেশের মাটিতে লাল-হলুদের জয়গানের অন্যতম রূপকার। ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চাণক্য।
সে বার দুরন্ত টিম তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ভারতের সেরা ফুটবলারদের নিয়ে। তারকাখচিত ভারতীয়দের নিয়ে এমন টিম আর কোনও ক্লাব কখনও করতে পেরেছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক চলতে পারে। আশিয়ান জয়ের সেই ফুটবলাররা এখন কী করেন? তাঁরা কি এখনও ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত? বিগত দুই দশকে ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং তারকাখচিত সেই ফুটবলারদের বর্তমান অবস্থার হদিশ দিল টিভি নাইন বাংলা।
সুলে মুসা (অধিনায়ক)- ঘানার ডিফেন্ডারকে ১৯৯৮ সালে সই করায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথম দিন থেকেই লাল-হলুদ সমর্থকদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছিলেন মুসা। সমর্থকদের এক সময়ের নয়নের মণি। টিমের স্তম্ভ ছিলেন তিনি। ফুটবলারদের তাতানো থেকে শুরু করে মাঠে নেতৃত্ব দেওয়া, সব কিছুতেই মুসাকে দেখা যেত। তাঁকে টপকে প্রতিপক্ষ ফুটবলাররা লাল-হলুদের বক্সে ঢুকতেই পারতেন না। এখন দেশেই থাকেন। স্থানীয় একটি ক্লাবে কোচিং করান।
বাইচুং ভুটিয়া- ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নয়নের মণি। আশিয়ান কাপ জয়ের অন্যতম নায়ক। ইস্টবেঙ্গলেই পেশাদার ফুটবলে কেরিয়ার শুরু। মাঝে বিদেশের ক্লাবের খেলতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসেছিলেন মোহনবাগানে। তবে আশিয়ান জয়ের বছরে ফিরে আসেন পুরনো ক্লাবে। আশিয়ান কাপের ফাইনালে গোল করেছিলেন বাইচুং। ফুটবল ছাড়ার পর নিজের নামে ফুটবল স্কুলও চালু করেন। সিকিমে একটি ফুটবল ক্লাবও তৈরি করেন। নাম দেন ইউনাইটেড সিকিম। পরবর্তীতে সেই ক্লাবের কোচ কাম প্লেয়ার ছিলেন বাইচুং। ফুটবল ছাড়ার পর রাজনীতিতেও যোগ দিয়েছেন। ২০১৪ সালে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। লড়েছিলেন নির্বাচনেও। যদিও বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে সিকিমে একটি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করেন বাইচুং। তার নাম দিয়েছেন হামরো সিকিম পার্টি। বর্তমানে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটিতে রয়েছেন। এ ছাড়া ফুটবল বিশেষজ্ঞের ভূমিকাতেও দেখা যায় ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে।
ডগলাস ডি’সিলভা- ব্রাজিলিয়ান মিডিওকে ২০০২ সালে সই করায় ইস্টবেঙ্গল। আশিয়ান জয়ে লাল-হলুদের অন্যতম স্তম্ভ। ফুটবল ছাড়ার পর কোচিংকে বেছে নিয়েছেন। মোহনবাগানের সেইল ফুটবল অ্যাকাডেমির কোচ ছিলেন এক সময়। আই লিগের ক্লাব ট্রাউ এফসিতে কোচিং করিয়েছেন। বাংলাদেশের ক্লাবেও কোচিং করিয়েছেন ডগলাস। সম্প্রতি কনমেবল ‘এ’ লাইসেন্স কোচিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
মাইক ওকোরো- নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার ২০০২ সালে ইস্টবেঙ্গলে সই করেন। আশিয়ান জয়ের অন্যতম নায়কও বটে। ওকোরোর পায়ে জাদু ছিল। দুরন্ত ড্রিবল, নিখুঁত নিশানায় গোলের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। বারবার বিতর্কে পড়েছেন, তবু তাঁর মতো প্রতিভাবান বিদেশি ফুটবলার সে সব ভারতে ছিল না। আশিয়ান কাপের ফাইনালে গোলও করেছিলেন। তবে মাইক এখন কী করেন, তা সঠিক ভাবে জানা যায় না। ইনস্টাগ্রামে তাঁর একটি অ্যাকাউন্ট আছে। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ ফুটবল কর্তা জানালেন, ফুটবলের থেকে এখন দূরেই থাকেন ওকোরো।
দেবজিৎ ঘোষ- আশিয়ান জয়ের বছরেই ইস্টবেঙ্গলে সই করেছিলেন দেবজিৎ ঘোষ। মাঝমাঠের অন্যতম কাণ্ডারি ফাইনাল অবধি যদিও দলের সঙ্গে থাকতে পারেননি। কোয়ার্টার ফাইনালেই বিপক্ষের ফুটবলারের সঙ্গে সংঘর্ষে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন। সিপিআরের মাধ্যমে দেবজিৎকে প্রাথমিক ভাবে রক্ষা করেছিলেন ডগলাস। দলের সঙ্গে সফররত চিকিৎসক শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত এক বিশেষ ইঞ্জেকশন দিয়ে দেবজিতের প্রাণ বাঁচান। ফুটবল ছাড়ার পর কোচিং করিয়েছেন। এখন ধারাভাষ্য দেন দেবজিৎ ঘোষ। এ ছাড়া ফুটবল বিশেষজ্ঞ হিসেবেও কাজ করেন।
সন্দীপ নন্দী- ইস্টবেঙ্গলের দুর্গ আগলে রেখেছিলেন সন্দীপ নন্দী। আশিয়ান কাপে দুরন্ত গোলকিপিং করেন। সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে লাল-হলুদের নায়ক। ২০০২ সালে টালিগঞ্জ অগ্রগামী থেকে সন্দীপকে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তারকা গোলকিপার সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়কে বাইরে রেখে সন্দীপকেই আশিয়ান কাপে খেলান সুভাষ ভৌমিক। আর তাতেই নতুন রূপকথা তৈরি করেন বর্ধমানের গোলকিপার। ফুটবল ছাড়ার পর কোচিংকে বেছে নিয়েছেন। এখন মহমেডান স্পোর্টিংয়ের গোলকিপার কোচ।
মহেশ গাওলি- গোয়ান ডিফেন্ডার ভারতের অন্যতম সেরা ফুটবলার। আশিয়ান জয়ের বছরেই চার্চিল ব্রাদার্স থেকে ইস্টবেঙ্গলে সই করেন। ফিলিপিন আর্মির বিরুদ্ধে একটি গোলও করেছিলেন মহেশ। ফুটবল ছাড়ার পর কোচিং ডিগ্রি নেন। ইন্ডিয়ান অ্যারোজে সহকারী হিসেবে কোচিং কেরিয়ার শুরু। এখন ভারতীয় ফুটবল দলের সহকারী কোচ। একই সঙ্গে অনূর্ধ্ব-২০ দলের প্রধান কোচ মহেশ গাওলি।
অ্যালভিটো ডি’কুনহা- ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে। ২০০২ সালে সালগাওকার থেকে ইস্টবেঙ্গলে সই করেন অ্যালভিটো। এরপর আর লাল-হলুদ ছাড়েননি। দীর্ঘ ১৪ বছর খেলেছেন ইস্টবেঙ্গলে। আশিয়ান কাপ জয়ের অন্যতম কারিগর গোয়ান মিডিও। ফাইনালে অ্যালভিটোর পায়ে একটি গোলও ছিল। গোটা টুর্নামেন্টে বেশ নজর কেড়েছিলেন। ফুটবল ছাড়ার পর ব্যবসার কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলে যোগ দেন। প্রথমে গোয়া কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। পরে আবার গোয়া তৃণমূলে যোগ দেন অ্যালভিটো ডি’কুনহা।
দীপক মণ্ডল- ইস্টবেঙ্গলের আশিয়ান কাপ জয়ের অন্যতম সদস্য। ২০০০ সালে জেসিটি থেকে লাল-হলুদে সই করেছিলেন দীপক। পাঁচ বছর খেলেছেন ইস্টবেঙ্গলে। জিতেছেন তিনটে জাতীয় লিগ। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত অবশ্যই আশিয়ান কাপ জয়। ফুটবল ছাড়ার পর কোচিং শুরু করেছেন। সি লাইসেন্স রয়েছে দীপকের। এখন রায়গঞ্জ আর কল্যাণীতে খুদে ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দেন অর্জুন পুরস্কারজয়ী এই ডিফেন্ডার।
ষষ্ঠী দুলে- ‘ইউ চাইম্যান, আই ষষ্ঠী দুলে’- আশিয়ান ফাইনালে ষষ্ঠীর এই উক্তি ময়দানে মিথ হয়ে রয়েছে। বেক তেরো সাসানার চাইম্যানকে একাই রুখে দিয়েছিলেন ছোটখাটো চেহারার ষষ্ঠী দুলে। ইস্টবেঙ্গল দলের সেই সময়ের সবচেয়ে মজার চরিত্র। মাঠের মতো ড্রেসিংরুমও মাতিয়ে রাখতেন। মাঠে একেবারে ভিন্ন মেজাজে ধরা দিতেন হরিপালের এই ফুটবলার। আশিয়ান চ্যাম্পিয়নজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এখন ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচিং করান।
মুথাইয়া সুরেশ- ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের স্তম্ভ ছিলেন সুরেশ। আশিয়ান জয়ের আগের বছরই মহীন্দ্রা ইউনাইটেড থেকে এই কেরলের এই ফুটবলারকে দলে নিয়েছিল লাল-হলুদ। রক্ষণে দলকে ভরসা দিয়েছিলেন সুরেশ। আশিয়ান জয়ের অন্যতম ডিফেন্ডার এখন নিজের গ্রামে একটি অ্যাকাডেমিতে কোচিং করান। ভবিষ্যতের ফুটবলার তৈরির কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সুরেশ।
চন্দন দাস- আশিয়ান জয়ের সদস্য চন্দন দাস। দীর্ঘ দিন লাল-হলুদে খেলেছেন এই মিডিও। দুরপাল্লার জোরালো শটে অনেক বিপক্ষ গোলকিপারকেই পরাস্থ করেছেন। টালিগঞ্জ অগ্রগামী থেকে এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। বলা যেতে পারে লাল-হলুদের ঘরের ছেলে। এখন রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। ইস্টবেঙ্গলে ছোটদের কোচিং করান। একটি টেবল টেনিস অ্যাকাডেমির সঙ্গেও জড়িয়ে।
সুভাষ চক্রবর্তী- টিএফএ থেকে ২০০২ সালে এই বঙ্গতনয়কে দলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের মাঝমাঠে দুরন্ত ফুটবল খেলেন সুভাষ চক্রবর্তী। লাল-হলুদ জার্সিতে জিতেছিলেন আশিয়ান কাপ। সেই মিডফিল্ডার এখন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের স্কাউটিংয়ের কাজে যুক্ত। ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার তুলে আনতে ছুটে বেড়ান এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলারদের তুলে আনার কাজ করেন সুভাষ চক্রবর্তী।
মালসোয়ামা টুলুঙ্গা- মিজোরামের ছোটখাটো চেহারার মালসোয়ামা টুলুঙ্গার আত্মপ্রকাশ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেই। ২০০২ সালে লাল-হলুদে ফুটবলজীবন শুরু। উইং দিয়ে দৌড়ে বিপক্ষকে নাস্তানবুদ করে ছাড়তেন টুলুঙ্গা। সঙ্গে ছিল স্কিল। আশিয়ান জয়ের অন্যতম সদস্য টুলুঙ্গা। সবার কাছে তিনি পরিচিত মামা নামে। ফুটবল ছাড়ার পর কোচিংকে বেছে নিয়েছেন। ‘ডি’ লাইসেন্স রয়েছে তাঁর। স্থানীয় অ্যাকাডেমিতেও কোচিং করান। একই সঙ্গে সামলান নিজের ব্যবসাও। সেখানে খেলাধূলার সরঞ্জাম বিক্রি হয়।
বিজেন সিং- ইস্টবেঙ্গলের আশিয়ানজয়ী দলের স্ট্রাইকার। কেরিয়ার শুরু ইস্টবেঙ্গলেই। মাঝে ডেম্পোতে গিয়েছিলেন। আশিয়ানের বছরে আবার ফিরে এসেছিলেন লাল-হলুদে। কোচ সুভাষ ভৌমিককে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকতেন বিজেন। ফুটবলের সঙ্গে এখন সে ভাবে যুক্ত নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
সুরকুমার সিং- মণিপুরের ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ রাইট ব্যাকের কেরিয়ার শুরু ইস্টবেঙ্গলে। মাঝে মহীন্দ্রা ইউনাইটেডে খেললেও, আশিয়ান জয়ের বছরে ফেরেন পুরনো ক্লাবে। চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য সুরকুমার এখন ব্যবসার কাজে ব্যস্ত।
সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়- আশিয়ান কাপ জয়ের সদস্য লাল-হলুদের এই গোলকিপার। ১৯৯৯ সালে ইস্টবেঙ্গলে কেরিয়ার শুরু। আশিয়ান কাপে অবশ্য তাঁর জায়গায় সন্দীপ নন্দীই তিন কাঠি সামলান। ফুটবল ছাড়ার পর কোচিংও শুরু করেছেন। এখন ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দলের গোলকিপার কোচ সংগ্রাম।
কালিয়া কুলথুঙ্গন- ২০০২ সালে ইস্টবেঙ্গলে সই করেন কুলথুঙ্গন। তামিলনাড়ুর এই মিডফিল্ডার আশিয়ান জয়ের অন্যতম সদস্য। ২০১৮ সালে এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কুলথুঙ্গনের। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪০ বছর।