EURO 2020 : পঞ্চকন্যার থেকে পিছিয়ে রোনাল্ডো!

raktim ghosh |

Jun 27, 2021 | 9:45 AM

মহিলাদের ফুটবলে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোল রয়েছে ক্রিস্টিন সিনক্লেয়ারের। কানাডার জাতীয় দলের ফুটবলার ক্রিস্টিন জাতীয় দলের হয়ে ২৯৬টি ম্যাচ খেলেছেন। মোট গোল সংখ্যা ১৮৬।

EURO 2020 : পঞ্চকন্যার থেকে পিছিয়ে রোনাল্ডো!
যে ৫ জন মহিলা ফুটবলার গোলসংখ্যায় এগিয়ে রোনাল্ডোর থেকে

Follow Us

জুরিখঃ বেলজিয়াম(BELGIUM) ম্যাচে গোল করলেই টপকে যাবেন আলি দায়ির সর্বোচ্চ ১০৯ গোলের রেকর্ড। রবিবাসরীয় ইউরো(EURO 2021) প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে সবার নজর থাকবে যেদিকে। মেসি(LIONEL MESSI) অনেকটাই পিছিয়ে।  রোনাল্ডোর(CRISTIANO RONALDO) ১১০ গোল করে কি বিশ্বের ১ নম্বর গোলদাতা হতেে পারবেন? এই প্রশ্নের মধ্যেই এক পরিসংখ্য়ান রীতিমত চমকে দিত পারে আপনাকে! বিশ্বফুটবলে এমন ৬জন মহিলা ফুটবলার (WOMEN FOOTBALLER)আছেন, যাঁদের আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যা রোনাল্ডোর থেকে বেশি। শুঠধু তাই নয় দুজন এমন মহিলা ফুটবলার রয়েছেন যাঁদের গোলসসংখ্যা ১৫০-র বেশি! তাঁরা কারা?

এই মুহূর্তে মহিলাদের ফুটবলে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোল রয়েছে ক্রিস্টিন সিনক্লেয়ারের। কানাডার জাতীয় দলের ফুটবলার ক্রিস্টিন জাতীয় দলের হয়ে ২৯৬টি ম্যাচ খেলেছেন। মোট গোল সংখ্যা ১৮৬। কানাডার জাতীয় দলের ১ নম্বর স্ট্রাইকার। ৩৮ বছরের ক্রিস্টিন দলের প্রয়োজনে খেলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেও।

সর্বোচ্চ গোল স্কোরার ক্রিস্টিন সিনক্লেয়ার

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাবি ওয়ামব্যাক। ২৫৫টি ম্যাচে গোল করেছেন ১৮৪টি। মার্কিন অ্যাবি ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন। ৪১বছর বয়সী এই প্রাক্তন ফুটবলার কোচিংও করিয়েছেন। ২০১২ সালে ফিফার বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলার হয়েছিলেন।২০১৫ সালে টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের ১০০জন প্রভাবশালী মহিলার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিলেন অ্যাবি ওয়ামব্য়াক।

দ্বিতীয় স্থানে অ্যাবি ওয়ামব্যাক

তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জার্মানির বার্গিট প্রিঞ্জ। জাতীয় দলের হয়ে ২১৪ ম্যাচে গোল করেছেন ১২৮টি। দুবার জিতেছেন বিশ্বকাপ। ৩বার ফিফার ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার খেতাব পেয়েছেন। ৪৩ বছর বয়সী প্রিঞ্জ এখন ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে ব্যস্ত একজন ক্রীড়া মনোবিদ হিসেবে।

তৃতীয় স্থানে জার্মানির বার্গিট প্রিঞ্জ

চতুর্থ স্থানে রয়েছেন জুলি ফ্লিটিং। স্কটল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ১২১ ম্যাচে ১১৬ গোল করেছেন। স্কটিশ ফুটবলে তাঁকে ডাকা হত গোলমেশিন বলে। ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার একসময় আর্সেনালের মহিলা দলের খেলেছেন নিয়মিত। ২০১৫ সালে জাতীয় দলের শেষ ম্যাচ খেলেছেন ফ্লিটিং। শুধু ফুটবলই নয়, একসময় চুটিয়ে খেলতেন বাস্কেটবল।

৪ নম্বরে স্কটল্যান্ডের জুলি ফ্লিটিং

পঞ্চম স্থানে য়িনি রয়েছেন তিনি এশীয়। জর্ডনের মায়সা বারাহ। কুয়েতে জন্ম হলেও খেলেছেন জর্ডনের হয়ে। ২০০৫ সাল থেকে নিয়মিত পড়ছেন জর্ডনের জাতীয় দলের জার্সি। মায়সার পরিসংখ্যান চোখ কপালে তুলে দেবেই আপনাকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ সংখ্যার থেকে গোল সংখ্যা বেশি তাঁর। জাতীয় দলের হয়ে ১১০ ম্যাচে ১১৩ গোল করেছেন মায়সা।

৫ নম্বরে রয়েছেন জর্ডনের মায়াস বারাহ

আর মহিলা ফুটবলে এই মুহূর্তে যিনি সুপারস্টার তিনি ব্রাজিলের মার্তা। যাঁর গোলসংখ্যা একেবারের রোনাল্ডর সমান। ১৫৯ ম্যাচে ১০৯টি গোল করেছেন বছর ৩৫য়ের এই ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার।সাম্বা দেশের মহিলা ফুটবলের এই সুপারস্টার গোল সংখ্যার ধারে কাছে নেই স্বয়ং নেইমারও।

 

Next Article