FIFA World Cup: ইবন বতুতার বইয়ের আদলে নাম, মেসি-এমবাপেদের পায়ে কথা বলবে ‘আল রিহলা’

সাদা ধবধবে বলের মধ্যে নিয়ন গোলাপি, নিয়ন হলুদ ও সমুদ্র নীল রঙের ছোঁয়া বলটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

FIFA World Cup: ইবন বতুতার বইয়ের আদলে নাম, মেসি-এমবাপেদের পায়ে কথা বলবে 'আল রিহলা'
ফুটবল বিশ্বকাপের বল-কথাImage Credit source: গ্রাফিক্স: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2022 | 8:17 PM

প্রতি চার বছর অন্তর শুরু হয় ফুটবল (Football World Cup) নামক খেলাটির সেরা দেশের খোঁজ। চার বছর সময়টা নেহাত কম নয়। ফুটবলের মহাযজ্ঞের প্রতিটি সংস্করণের আগে পরিবর্তন আনা হয় ফুটবলে। আকৃতি, ওজন এক থাকলেও বদল আসে ডিজাইনে, গঠন এবং রংয়ের ছোঁয়ায় আসে পরিবর্তন। ১৯৭০ সালের আগে পর্যন্ত কোনও অফিশিয়াল বল দিয়ে খেলা হত না বিশ্বকাপ। চলতি বছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বসছে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। অফিশিয়াল বলের নাম ‘আল রিহলা’।  কী বৈশিষ্ট্য এই বলের? কীসের অনুপ্রেরণায় তৈরি বলের নকশা? খুঁজে দেখল TV9 Bangla

‘আল রিহলা’। আরবীয় ভাষার অর্থ হল যাত্রাপথ বা ভ্রমণ। পৃথিবী ভ্রমণের জন্য বিখ্যাত ইবন বতুতার ভ্রমণ সংক্রান্ত বইটির নাম ‘দ্য রিহলা’ অর্থাৎ যাত্রাপথ। কাতার বিশ্বকাপের (Fifa World Cup 2022) অফিশিয়াল বলটি ইবন বতুতার ভ্রমণ সংক্রান্ত বইয়ের থেকে অনুপ্রাণিত। তাঁর লেখা বইয়ের নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বলটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আল রিহলা’ (Al Rihla)। বছর শেষে শীতের আমেজে লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, নেইমারদের পায়ে পায়ে কথা বলবে ‘আল রিহলা’। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে নতুন যাত্রাপথের সূচনা হবে।

সেই ১৯৭০ সাল থেকে ফিফা বিশ্বকাপের জন্য অফিশিয়াল বল তৈরি করে আসছে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাডিডাস। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। চারবছর অন্তর ফুটবল বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বস্তুটি কোনও না কোনও ভাবনা থেকে তৈরি করে থাকে সংস্থাটি। ‘আল রিহলা’ তৈরিতে কোন ভাবনা রয়েছে? ফিফার ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কাতারের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বলটি তৈরি করা হয়েছে। বলের গঠন, আকৃতি ও রঙ নির্ধারণ করা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে। সাদা ধবধবে বলটির মধ্যে নিয়ন গোলাপি, নিয়ন হলুদ ও সমুদ্র নীল রঙের ছোঁয়া বলটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

সেই ১৯৭০ সাল থেকে ফিফা বিশ্বকাপের জন্য অফিশিয়াল বল তৈরি করে আসছে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাডিডাস। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। চারবছর অন্তর ফুটবল বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বস্তুটি কোনও না কোনও ভাবনা থেকে তৈরি করে থাকে সংস্থাটি। ‘আল রিহলা’ তৈরিতে কোন ভাবনা রয়েছে? ফিফার ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কাতারের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বলটি তৈরি করা হয়েছে। বলের গঠন, আকৃতি ও রঙ নির্ধারণ করা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে। সাদা ধবধবে বলটির মধ্যে নিয়ন গোলাপি, নিয়ন হলুদ ও সমুদ্র নীল রঙের ছোঁয়া বলটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

এখানেই কী শেষ? নাহ্, আল রিহলা-র বৈশিষ্ট্য এখনও বাকি আছে। ফিফা বলছে, বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন বল হতে চলেছে এটি। বলটির নকশা তৈরি করা হয়েছে সেভাবেই। ১২টি বড় ও আটটি ছোট প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। যাতে বাতাসে বলের গতি বাড়ে। আগামী চারবছরের জন্য ফুটবল বিশ্বের সেরা দেশ হতে নিজেদের উজাড় করে দেবেন ফুটবলাররা। কাতারের মাটিতে ‘আর রিহলা’ পায়ে আঁকবেন নকশা। বলটির ভেতরের অংশ ফাঁপা। এতে ভেতরের বাতাস ধরে রেখে বলটি ধারাবাহিকভাবে গতিশীল থাকবে। ঘাসের উপর দিয়ে দ্রুত পৌঁছবে বল। কোথায় গিয়ে ধাক্কা খেলেও কখন ও কীভাবে ফিরবে সেই হিসেবটাও মেপে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই বল বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করে দেখা হয়েছে। আল রিহলা-র সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারবে যে দল, কাতার থেকে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তাঁদের বেশি।