দোহা:বিশ্বকাপের (FIFA World Cup) মঞ্চে এই নিয়ে ষষ্ঠ বার মুখোমুখি হতে চলেছে আর্জেন্টিনা (Argentina) ও নেদারল্যান্ডস (Netherlands)। বিশ্বকাপের ইতিহাসের চিরপ্রতিদ্বন্দী দুই দল কোয়ার্টার ফাইনালের মাঠে নামতে চলেছে শনিবার। এই দু-দলের মুখোমুখি সাক্ষাতের পরিসংখ্যান চমকপ্রদ। এ বারও একটা আকর্ষণীয় ম্য়াচ হতে চলেছে সন্দেহ নেই। আর্জেন্টিনা যেমন অনবদ্য ছন্দে রয়েছে, তেমনই নেদারল্যান্ডসও। শেষ বাজি কার তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে শনিবার পর্যন্ত। আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস মানেই কিছু স্মরণীয় ম্যাচ। বড় ম্যাচের আগে দুই দলের বেশ কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরল TV9 Bangla।
১৯৭৪ বিশ্বকাপে প্রথম বার মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস। যোহান ক্রুয়েফদের টোটাল ফুটবলের সামনে বিধ্বস্ত হয় আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম সাক্ষাতেই ৪-০ ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে পরাস্ত করে ডাচরা। ১৯৭৮ বিশ্বকাপ ফাইনালে সেই নেদারল্যান্ডসকেই অতিরিক্ত সময়ে ৩-১’এ পরাজিত করে বিশ্বকাপ খেতাব নিয়ে দেশে ফেরেন মারিও কেম্পেসরা। এই বিশ্বকাপেই সর্বাধিক গোলদাতা হিসেবে গোল্ডেন বুট জেতেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার মারিও। ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফের মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে পরাজিত করে নেদারল্যাল্ডস। ২০০৬ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচে মাঠে নামে তারা। কিন্তু গোলশূন্য ড্র হয় সেই ম্যাচ। এরপর দীর্ঘ ৮ বছর পর ২০১৪ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে সাক্ষাৎ হয়েছিল দুই দেশের। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে গোলশূন্য থাকে ম্যাচ। তবে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ডাচদের পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছিল মেসির আর্জেন্টিনা।
ফের ৮ বছর পর কাতারের মাটিতে মুখোমুখি হতে চলেছে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস। কোয়ার্টার ফাইনালের মতো ম্যাচ হওয়ায় বাড়তি নজর থাকছেই। গ্রুপ পর্বের শুরুটা নেদারল্যান্ডসের বেশ নীরব ছিল। ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধিদীপ্ত খেলার মাধ্যমে কোয়ার্টার ফাইনালের পথ নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। অন্য দিকে, আর্জেন্টিনার এ বারের বিশ্বকাপের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের। সৌদি আরবের কাছে ২-১’এর লজ্জাজনক হার দিয়ে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হয় মেসিদের। পরে অবশ্য জ্বলে ওঠেন এলএম টেন। সতীর্থদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে আসেন কোয়ার্টার ফাইনাল অবধি। দুই দলই রয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে। বিশ্বকাপে দুই দলের পরিসংখ্যানও সমান। পাঁচটির মধ্যে দুটি করে জয়। একটি ড্র। তবে নিঃসন্দেহে ২০১৪’র বদলা নিতে মরিয়া হয়ে উঠবেন লুই ভ্যান গালের ছাত্ররা।