ব্রাসেলস: বেলজিয়াম সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ঘটনায় ফুটবলজগতে আবার শোকের ছায়া। খেলতে খেলতে ফুটবল মাঠেই মৃত্যু! এমন ঘটনায় স্তম্ভিত সারা বিশ্ব। পেনাল্টি বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল বেলজিয়ামের এক গোলরক্ষকের! মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বেলজিয়ামের একটি দ্বিতীয় ডিভিশনের খেলায়। ওই লিগ অবশ্য পেশাদার নয়। উইঙ্কেল স্পোর্টসের ‘বি’ দলের খেলা চলছিল, তথাকথিক আর একটি ছোট দল ওয়েষ্ট্রজেবেকের বিরুদ্ধে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে একটি পেনাল্টি পায় ওয়েষ্ট্রজেবেক দলটি। উইঙ্কেল স্পোর্টসের হয়ে গোল সামলানোর দায়িত্বে আর্নে এসপিল। বেলজিয়ান সংবাদমাধ্য়মের খবর, পেনাল্টিটি প্রতিহত করেই মাঠে লুটিয়ে পড়েন আর্নে। মুহূর্তের মধ্যে জরুরিকালীন ব্যবস্থা সামলানো চিকিৎসক দল মাঠে এসে আর্নের শুশ্রূষা শুরু করেন। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
মাঠের চিকিৎসায় সাড়া মেলেনি। দ্রুত আর্নেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় মাত্র ২৫ বছরের তরুণ গোলকিপারকে। খেলার মাঠে প্রায়ই এ রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ক্রীড়াবিশ্ব। ক্রিকেট থেকে ফুটবল, হকি, রাগবি প্রায় সব খেলাতেই এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা দেখা যায়। কেউ না কেউ প্রাণ হারিয়েছেন বা প্রাণ সংশয় হয়েছে। ফুটবল মাঠে বেলজিয়ান কিপারের মৃত্যু মনে পড়িয়ে দিচ্ছে ফিলিপ হিউজের কথা। মাত্র ২৫ বছর বয়সে জীবনের ময়দান ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার। জন্মদিনের মাত্র ৩দিন আগে ক্রিকেট মাঠের ঘটনাতেই জীবন থেমে গিয়েছিল তাঁর। কাঁদিয়ে গিয়েছিলেন ক্রিকেট বিশ্বকে। গত বছর জিএস লিওপলির আলেকজান্ড্রো লম্পিসের মৃত্যুটাও খুব মর্মান্তিক। আর্মিয়নীডার বিরুদ্ধে খেলছিলেন এই গ্রিক ফুটবলার। সূত্রের খবর, খেলা চলাকালীন মাঠের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। চিকিৎসার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় মাত্র কয়েক মুহূর্তের মধ্যে না ফেরার দেশে চলে যেতে হয় ২১ বছর বয়সী এই তরুণকে।
আর্নের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত তাঁর ক্লাব উইঙ্কেল স্পোর্টস। ক্লাবের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আর্নের আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত এবং আমরা তাঁর বন্ধু ও পরিবারের প্রত্যেককে সমবেদনা জানাই। এটি আমাদের কাছে খুব বড় ক্ষতি। আর্নের প্রাণ বাঁচানোই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল, ফুটবল পরে।” এসপিলের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা।