কলকাতা : জয় দিয়ে সন্তোষ অভিযান শুরু করেছিল বাংলা। অন্য দিকে, এ দিন বাংলার প্রতিপক্ষ দমন ও দাদরা প্রথম ম্যাচে হেরেছিল। টানা দুই ম্য়াচে বড় ব্য়বধানে জিতল বাংলা। প্রথম ম্যাচে হরিয়ানাকে ৩-০ ব্য়বধানে হারিয়েছিল বাংলা। দ্বিতীয় ম্যাচে দমন ও দাদরার বিরুদ্ধে জয় ৫-০ ব্যবধানে। ম্যাচের আগে বাংলার কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, প্রথম ম্য়াচের তুলনায় আরও ভালো পারফর্ম করবে তাঁর দল। কোচের ভরসার মর্যাদা রাখলেন তাঁর ছাত্ররা। দমন ও দাদরার বিরুদ্ধে শুরু থেকে শেষ অবধি দাপট বজায় রাখল বাংলা। স্কোর লাইনেই শুধু নয়, পারফরম্য়ান্সেও অনবদ্য। বাংলার দ্বিতীয় ম্যাচের রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
ম্যাচ শুরুর মাত্র ৩ মিনিট পেরোতেই এগিয়ে যায় বাংলা। বাঁ দিক থেকে অনবদ্য ক্রস। গোলে পরিণত করতে ভুল করেননি রবি হাঁসদা। বাঁ দিক থেকেই মূলত আক্রমণ করছিল বাংলা। প্রথম গোলের মুভও তৈরি হয় সেখান থেকেই। বাংলার ব্য়বধান বাড়তে পারতো ম্যাচের ১৭ মিনিটেই। বক্সে অনবদ্য একটা সেন্টা সুরজিৎ হাঁসদার। বাংলা অধিনায়ক নরহরি শ্রেষ্টা পা ছোঁয়ালেই গোল। যদিও তাঁর চেষ্টা ব্যর্থ। ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায় বল। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি হলেও দ্বিতীয় গোলের জন্য় অপেক্ষা করতে হল প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইম অবধি। ব্যবধান বাড়ান অধিনায়ক নরহরি শ্রেষ্টা। ২-০ স্কোর লাইনে বিরতিতে যায় বাংলা।
দ্বিতীয়ার্ধে খুব বেশিক্ষণ পেরোয়নি। বাংলার ফের গোল। নরহরি শ্রেষ্টার ছোট্ট ফ্লিক, রবি হাঁসদা ৩-০ করতে ভুল করেননি। দলের তৃতীয় এবং তাঁর জোড়া গোল। বাংলার অনবরত আক্রমণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে দমন ও দাদরা। বাংলা অবশ্য আত্মতুষ্টিতে ভোগেনি। আরও গোলের চেষ্টায় আক্রমণ চালিয়ে যায়। ম্য়াচের ৬৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের একঝাঁক ডিফেন্ডারের সামনে গোল বাংলা অধিনায়ক নরহরি শ্রেষ্টার। নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট আগে বাংলার পঞ্চম গোল। কর্নার থেকে গোলের মুভ তৈরি হয়। ট্যাপ ইনে গোল করেন সৌভিক কর। পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলেন সৌভিক। এই জয়ে গ্রুপ শীর্ষে থাকল বাংলা।