বাইচুং ভুটিয়া
শুধু আমিই নয়, ফুটবলপ্রেমীরা এই মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলেন, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ বোধ হয় থাকে না। চার বছরের অপেক্ষা। কে হবে সেরা। কোন দলের হাতে উঠবে বিশ্বকাপের ট্রফি। ফুটবলের মহারণে কোন দল চমক দেবে। এমন অনেক প্রশ্নই ঘোরাফেরা করে। এ বারের বিশ্বকাপে বড় ভূমিকা নিতে পারে আবহাওয়া। কাতারের আবহাওয়া খুবই গরম। আর্দ্রতাও প্রচুর। সেখানকার পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে না। বিশ্বকাপ উইন্টারে হচ্ছে, এমনটা বলছি ঠিকই, কিন্তু কাতারের আবহাওয়া তা নয়। এ কারণেই আমার মনে হয়, ইউরোপিয়ান দেশগুলি বেশ কিছুটা সমস্যায় পড়বে কাতারে। ইতিহাস দেখে এটা বলা যায়, দক্ষিণ আমেরিকার কোনও দেশে বিশ্বকাপ হলে, সেখানকারই কোনও দেশ জেতে। হাতে গোনা কিছু ক্ষেত্রে এর হেরফের হয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপে বিশ্বকাপ হলে, ইউরোপের দেশগুলির দাপট বেশি দেখা যায়। সবসময় হয়তো নয়, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। আবহাওয়ার দিক ভেবেই, আমার মনে হয় এই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলি দাপট দেখাবে।
বিশ্বকাপে ৩২টা দেশ অংশ নিচ্ছে। তার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হবে একটা দলই। সবদিক ভেবে বলতে পারি, আমার মতে এ বারের বিশ্বকাপে ফেভারিট ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। এর সঙ্গে ফ্রান্সকেও রাখতে চাই। তবে ব্যক্তিগত ভাবে, মন থেকে মেসি এবং আর্জেন্টিনার জন্য সমর্থন করব। কারণ, মেসির এটাই শেষ বিশ্বকাপ। ওর কেরিয়ার পূর্ণতা পাবে বিশ্বকাপ জিতলে। আশা করছি, অবসর নেওয়ার আগে মেসি এরকম একটা বড় টুর্নামেন্ট জিতুক। সহজ কথায়, বিশ্বকাপ জিতে অবসর নিক মেসি, এমনটাই চাই।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন ইংল্যান্ডও মাঠে নামছে। ওদের নিয়ে একটু আলোচনা করাই যায়। ইংল্যান্ডের টিম খুবই ভালো। কিন্তু আমি কোনও সময়ই ইংল্যান্ডের ম্যানেজার গ্য়ারেথ সাউথগেটের ফ্যান নই। সাউথগেটের দলে যোগ্য প্লেয়ার রয়েছে। কিন্তু তাদের ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারছে না। ওর পরিকল্পনা একটু রক্ষণাত্মক। অথচ ইংল্যান্ডের শক্তি রয়েছে, পুরো অ্যাটাকিং ফুটবল খেলার। স্পিড আছে, টেকনিকের দিক থেকেও দারুণ প্লেয়ার রয়েছে। শুধু প্লেয়ারদের কথা বললে, আমি বলব এই মুহূর্তে সেরা প্লেয়াররা রয়েছে ইংল্যান্ড দলে। তবে যাই হোক, একটাই আশা থাকবে এবং মেসির হাতেই বিশ্বকাপ চাই।