ময়দানের তথাকথিত কিছু ছোট দল রয়েছে। পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবও তাই। এই দলগুলির ক্ষেত্রে একটা বিষয় দেখা যায়, তিন প্রধানের বিরুদ্ধে মরিয়া পারফর্ম করে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তেমনই অনবদ্য পারফরম্যান্স করল পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাব। ক’দিন আগেই কলকাতা ডার্বি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল জুনিয়র দলেরও। পরিস্থিতি খুবই কঠিন ছিল ইস্টবেঙ্গলের জন্য। ম্যাচের ১৫ মিনিটে এগিয়ে থেকেও ২-১ ব্যবধানে কষ্টার্জিত জয় লাল-হলুদের। ম্যাচের বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ময়দানের পরিচিত নাম প্রশান্ত চক্রবর্তী। কয়েক ম্যাচ আগেই পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এ বারের কলকাতা লিগেই ইস্টার্ন রেলে কোচিং করিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারের পর তাঁর দলের প্লেয়ারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। ইচ্ছাকৃত ভাবে ম্যাচ ছাড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল তাঁর। পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের হয়ে ইস্টবেঙ্গলকে কড়া চ্যালেঞ্জ দেন ময়দানের পোড় খাওয়া কোচ। কিন্তু বড় দলের পরিচয়, শেষ মুহূর্ত অবধি স্নায়ুর চাপ ধরে রাখা। ইস্টবেঙ্গল সেটাই করল।
প্রথমার্ধে অভিষেক কুঞ্জমের গোলে ১-০ এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের হয়ে অনবদ্য গোলে সমতা ফেরান জগমীত সিং। এরপর শুধুই গোলের খোঁজে মরিয়া দেখাল দু-দলকে। একটা সময় অবধি মনে হচ্ছিল, লিগে আরও একটা ড্র হবে ইস্টবেঙ্গলের। শেষ দিকে গোলের মুখ খুলল। পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলেন সঞ্জীব ঘোষ ও পিভি বিষ্ণু। ইস্টবেঙ্গলের ত্রাতা হয়ে দাঁড়াল এই জুটিই।
ম্য়াচের ৮৬ মিনিটে বক্সের বাঁ দিকে ফ্রিকিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও তা কাজে লাগানো যায়নি। পরের মিনিটেই অনবদ্য গোল বিষ্ণুর। প্রতিপক্ষ বক্সে বল নিয়ে ঢোকেন সঞ্জীব ঘোষ। ডিফেন্সের ভিড়ে সঞ্জীবের বাড়ানো বল। বল রিসিভ করেই বিষ্ণুর টার্ন। পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের ডিফেন্ডাররা সেই টার্ন বুঝে উঠতে পারেননি। এরপর গোল করা ছিল শুধুই অপেক্ষা। গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন বিষ্ণু। ১০ মিনিট অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। তাতে অবশ্যই স্কোরলাইনে আর কোনও বদল হয়নি।