বিদেশিহীন লিগে অনবদ্য পারফর্ম করছিল মোহনবাগান। শুরুর দিকে মনে হয়েছিল, সুপার সিক্সে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। মোহনবাগান কার্যত অনূর্ধ্ব ২৩ দল খেলিয়েছে। নজর কেড়েছেন সুহেল ভাটের মতো তরুণ তুর্কিরা। লিগ যত এগিয়েছে, পরিস্থিতি বদল হয়েছে। মোহনবাগানকে চিন্তায় রেখেছিল রক্ষণ ভাগ। বেশ কিছু ম্যাচ জিতেও এই বাস্তবটা স্বীকার করে নিয়েছেন জুনিয়র দলের কোচ বাস্তব রায়। সুপার সিক্সে যাওয়ার পথ কঠিন হয়েছে মোহনবাগানের। পরিকল্পনায় বদল আনতে পারে সবুজ মেরুন শিবির। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কলকাতা লিগে এ বার সিনিয়র ফুটবলারদের খেলানোর ভাবনা মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টের। কলকাতা লিগে সাদার্ন সমিতির কাছে হারের পরই অস্বস্তি বেড়েছে সবুজ-মেরুনের। লিগের বাকি তিনটি ম্যাচই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে হবে মোহনবাগানকে। পিয়ারলেস, ডায়মন্ডহারবার আর মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে খেলা বাকি। এই তিনটে ম্যাচই বেশ কঠিন। সুপার সিক্সে ওঠার লড়াইয়ে বাগানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ডায়মন্ডহারবার, কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ। মহমেডান স্পোর্টিং আজ জিতে সুপার সিক্সের পথে এক পা বাড়িয়ে রেখেছে। এরই মধ্যে অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দলে মোহনবাগানের চার ফুটবলার ডাক পেয়েছেন। তাই বাধ্য হয়েই গুরুত্বপূর্ণ শেষ তিনটে ম্যাচে সিনিয়র দলের ফুটবলারদের খেলানোর ভাবনায় বাগান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।
আপাতত রবিবার ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালই পাখির চোখ মোহনবাগানের। মুম্বই ম্যাচ জিতলে সেমিফাইনাল খেলতে হবে বৃহস্পতিবার। শেষ চারে এফসি গোয়াকে হারালে রবিবার ফাইনাল খেলবে মোহনবাগান। এই অবস্থায় সামনের সপ্তাহে লিগের ম্যাচ চাইছে না বাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। সূত্রের খবর এমনটাই। কারণ, কলকাতা লিগে সিনিয়র ফুটবলারদের খেলানোর ভাবনা রয়েছে। রবিবার মুম্বই ম্যাচের উপরেই এখন সমস্ত সমীকরণ দাঁড়িয়ে।