লন্ডন: একপাল ভেড়ার (sheep) ডাকে এতটা বিপর্যস্ত ছিলেন যে, ভোরে ঘুম ভেঙে যাচ্ছিল তাঁর। আর তাই রাতারাতি পাল্টে ফেললেন নিজের বিলাসবহুল বাড়ি। কে ইনি? ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)! ১২ বছর পর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে পা দেওয়ার পর এক বিলাসবহুল বাড়িতে উঠেছিলেন। অত্যাধুনিক সেই বাড়িতে ছিল সবই। মুশকিল হল ভোরবেলার ঘুম নিয়ে। একপাল ভেড়া এমন ডাকে যে, রোনাল্ডোর ঘুম চৌপাট। তড়িঘড়ি এক নতুন বাড়ি কিনে নিলেন ম্যাঞ্চেস্টারে (Manchester)।
সিআর সেভেন (CR7) ঘনিষ্ঠ একজন বলেছেন, ‘বাড়িটা খুব সুন্দর ছিল। সবুজে ঘেরা। কিন্তু সমস্যা হল একপাল ভেড়াকে নিয়ে। যারা খুব চেঁচামেচি করে। শুধু তাই নয়, বাড়ির গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে রাস্তা ও পাবলিক ফুটপাথ। সেখান থেকেও ভেসে আসে গাড়ির আওয়াজ। তা ছাড়া নিরাপত্তা নিয়েও কিছুটা প্রশ্ন ছিল। আসলে রোনাল্ডো পেশাদার ফুটবলার। নিজেকে ঠিকঠাক তুলে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় বিশ্রামটা সব সময় নেয়। ওর বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটছিল বলেই নতুন বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।’
চেশায়ারে নতুন বাড়িও কম বিলাসবহুল নয়। সুইমিং পুল, সিনেমা রুম, চারটে গাড়ি রাখার মতো গ্যারাজের পাশাপাশি সাতটা বিশাল বেডরুম রয়েছে। বান্ধবী জর্জিনা রড্রিগেজ ও চার ছেলেকে নিয়ে সিআর সেভেন উঠেছেন সেই নতুন বাড়িতেই। যার দাম ৩ মিলিয়ন পাউন্ড। চেশায়ারের ওই পুরো বাড়িটাই ঘেরা সিসিটিভিতে। ইলেকট্রনিক গেট টপকে কারও ঢুকে পড়ার উপায়ও নেই।
রোনাল্ডো এমনিতে পরিবার কেন্দ্রীক মানুষ। খেলার বাইরে পরিবারের সঙ্গেই থাকতে ভালোবাসেন। তাঁর নতুন বাড়ি যেন একখণ্ড নৈশব্দে ঘেরা থাকে, তাই চান রোনাল্ডো। যে এজেন্টের মারফত ওই বাড়ি কিনেছেন রোনাল্ডো, তাঁর কথায়, বাড়ির সামনে একফালি চমৎকার মাঠ রয়েছে। ঘর থেকে থেকে বাগান দেখা যায়। রাতে ওই বাগানে কখনওসখনও হাঁটেন তিনি। যে কারণে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাও চান রোনাল্ডো। তাঁর মনের মতোই চেশায়ারের সেই বাড়ি। একসপ্তাহের মধ্যে বাড়ি বদলে নতুন যেখানে উঠেছেন, সেখানে ঘুমোতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না তাঁর।
আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: হতাশা ভুলে সামনে তাকাচ্ছেন রোনাল্ডো