ফুটবল নিয়ে আলোচনা যখন চলবে, তখন দিয়েগো মারানোর নাম নিশ্চিত ভাবে উঠে আসবে। মাত্র ৬০ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু ভক্তদের হৃদয়ে এখনও তাঁর স্থান জ্বলজ্বল করছে। রবিবার তাঁর ৬২ তম জন্মদিন। জন্মদিনে মারাদোনার কেরিয়ার ও জীবনের কিছু শ্রেষ্ট মুহূর্ত ফিরে দেখল TV9 Bangla।
১৯৭৬ সালে নার্টমার্গের হয়ে অভিষেক হয় মারাদোনার। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই ফুটবলের আঙিনায় পদার্পণ করেছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র। এর পর ১৯৮২ সালে আর্জেন্টিনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের হয়ে লিগ খেতাব জেতেন তিনি। অল্প বয়সই নিজের মুন্সিয়না তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছিলেন মারাদোন। তার ফল পেতেও দেরি হয়নি। ১৯৮২ সালেই বার্সোলোনা তাঁকে রেকর্ড দামের বিনিময়ে সই করায়।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টনা। সেই প্রতিযোগিতায় মারাদোনা ছিল অপ্রতিরোধ্য। তাঁর গতির কাছে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছিল বাকি দের ফুটবলারদের। ওই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে করা ২টি গোল নিয়ে এখনও আলোচনা হয়। একটি গোল শতাব্দির সর্বসেরা হয়েছে। কিন্তু অপর গোল নিয়ে বিতর্ক কমেনি তাঁর মৃত্যুর পরও। হাত দিলে গোল দেওয়ার অভিযোগ ছিল মারদোনার বিরুদ্ধে। সেই গোল হ্যান্ড অব গড নামে খ্যাত।
এর পর মারাদোনা পাড়ি দিয়েছিলেন ইটালিতে। ইটালির ক্লাব নাপোলির হয়ে খেলেছিলেন তিনি। নাপোলিকে সিরিয়া আ চ্যাম্পিয়নও করেছিলেন। সে সময় মারাদোনা ছিলেন ফুটবল বিশ্বের সবথেকে দামি ফুটবলার।
১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ছিল মারাদোনার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপেও নিজের জাত চিনিয়েছিলেন দিয়েগো। ১৯৯৪ বিশ্বকাপ তাঁর জীবনে অভিশাপ হয়ে নেমে আসে। এই বিশ্বকাপেই ড্রাগ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। এর পরই তাঁর জীবনে নেমে আসে নির্বাসনের কালো ছায়া।
বিশ্বকাপের আঙিনায় মারাদোনার ফের উদয় হয় ২০১০ সালে। এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কোচ ছিলেন তিনি। ২০২০ সালে ফুটবল বিশ্বকে কাঁদিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মারাদোনা।