কলকাতা : বরাবর দায় এড়ানোর খেলা খেলেছেন। প্রেস মিট হলেই শোনা যেত, যত দোষ নাকি ফুটবলারদের। কে পারেননি, কেন পারছেন না, এ সবের অজুহাতই তুলে ধরতেন। অথচ কোচ নিজেকে দাঁড় করাননি কাঠগড়ায়। এই স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনে আর আস্থা নেই ইস্টবেঙ্গলের। সুপার কাপে যদি ইস্টবেঙ্গলকে চ্য়াম্পিয়নও করান, তারপরও পরের মরসুমে রাখা হচ্ছে না স্টিফেনকে। বোর্ড মিটিংয়ে স্টিফেন বিদায়ে সিলমোহর পড়ে গেল। ডুরান্ড কাপ, আইএসএলে চরম ভরাডুবির পরও কেন যে তাঁকে সুপার কাপে রেখে দেওয়া হচ্ছে, এ নিয়ে লাল হলুদ জনতা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। দলের ব্য়র্থতার জন্য় কি শুধু ফুটবলাররাই দায়ী? কোচের প্রতিটি সাংবাদিক সম্মেলনে অবশ্য এমনটাই উঠে আসত। নতুন মরসুম, নতুন ভাবনা। দলে একাধিক পরিবর্তনের পাশাপাশি স্টিফেন বিদায়। বিস্তারিত TV9bangla-য়।
বোর্ড মিটিংয়ের পর স্টিফেন বিদায়ের কথা নিশ্চিত করেন ইমামি কর্তা আদিত্য় আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘প্লেয়ারদের একটা ভালো পরিবেশ দিতে চাই।’ এরপরই কোচ প্রসঙ্গে নিশ্চিত করেন, ‘আমরা কোচ বদল করছি। নতুন কারও নাম এখনও ঠিক হয়নি। তাই আগে থেকে আর কিছু বলতে চাইছি না।’ গত বছর দল গঠনের জন্য় সময় কম থাকলেও এ বার পরিস্থিতি আলাদা। ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করেই শক্তিশালী দল গড়া হবে।
আরও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয় ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামি কর্তাদের মধ্যে। তার মধ্যে অন্য়তম, ড্রাফটিং পদ্ধতি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এই পদ্ধতি রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলে পরে যোগ দেওয়ায় এই সুবিধা পায়নি। তাহলে শক্তিশালী দল গড়া যেত বলেই মনে করছেন কর্তারা। আইএসএলেও ড্রাফটিং রাখার অনুরোধ করে এফএসডিএলকে চিঠি দিচ্ছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। শনিবার ক্লাব তাঁবুতে ইনভেস্টর কর্তাদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এরপরই চিঠি পাঠানো হবে।
বিস্তারিত আসছে…