East Bengal: চুক্তিপত্রে সই না করার সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের, অনড় শ্রী সিমেন্ট

ইস্টবেঙ্গলের সিদ্ধান্ত পৌঁছেছে শ্রী সিমেন্টের কানেও। কোম্পানির তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল, কোনও আপসের পথে হাঁটবে না শ্রী সিমেন্ট।

East Bengal: চুক্তিপত্রে সই না করার সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের, অনড় শ্রী সিমেন্ট
East Bengal: চুক্তিপত্রে সই না করার সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের, অনড় শ্রী সিমেন্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2021 | 8:44 PM

কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল-ইনভেস্টর জটিলতা তুঙ্গে। শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) চুক্তিপত্রে কোনও ভাবেই সই করবে না ক্লাব, জানিয়ে দেওয়া হল। শুক্রবার সন্ধেয় কার্যকরী সভার সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত লাল-হলুদের। যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হল একগুচ্ছ প্রশ্ন। আইএসএল (ISL) কি খেলতে পারবে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)? যদি খেলেও কে হবে নতুন ইনভেস্টর? তার থেকেও বড় প্রশ্ন, এফএসডিএলের (FSDL) তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আইএসএল খেলতে হলে শ্রী সিমেন্টের হাত ধরতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। যে হেতু হাতে সময় নেই, তাই নতুন ইনভেস্টর নিয়ে আইএসএল খেলা সম্ভব নয় লাল-হলুদের।

ইনভেস্টরের তরফে যে চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছে, তাতে ক্লাব ও সদস্যদের অধিকার খর্ব হচ্ছে। এই যুক্তি অনেক দিন ধরেই তুলছে ইস্টবেঙ্গল। চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে নিজেদের মনোভাব স্পষ্ট করতেই এ দিন সন্ধেয় আলোচনায় বসেছিলেন কর্তারা। সেখানে চুক্তিপত্রের নানা দিক নিয়ে আবার আলোচনা করা হয়েছে। সভার পর ক্লাবের তরফে এক বিবৃতি জারি করে কল্যাণ মজুমদার বলেছেন, ‘চুক্তিপত্র মানলে ক্লাবকে চিরতরে ইনভেস্টরের হাতে তুলে দিতে হবে। ক্লাবের মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি সদস্যদের অধিকারও খর্ব হয়েছে। চুক্তিপত্রে সই করলে ক্লাবের মাঠ, লোগো, টেন্ট আর ব্যবহার করতে পারবেন না সদস্যরা। এ এক ধরনের অসম্মান। আত্মাভিমানে আঘাত। সেটা আমরা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’

ইস্টবেঙ্গলের সিদ্ধান্ত পৌঁছেছে শ্রী সিমেন্টের কানেও। কোম্পানির তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল, কোনও আপসের পথে হাঁটবে না শ্রী সিমেন্ট। টার্ম শিটে যে শর্তাবলী দেওয়া হয়েছে, তা মেনেই সই করতে হবে ক্লাবকে। বল এখন ইস্টবেঙ্গলের কোর্টে। নতুন চুক্তিপত্রে সই না হলে তারাও নতুন ইনভেস্টমেন্টের পথে হাঁটবে না।

ইনভেস্টরের চুক্তিপত্রের নানা শর্তাবলী নিয়ে প্রথম দিন থেকে সরব ক্লাব। দু’পক্ষের চিঠি চালাচালি হলেও সমস্যা মেটেনি। ঘটনা হল, দু’পক্ষই মুখোমুখি বৈঠকে সমস্যা মেটানোর কথা বললেও কেউই এগিয়ে আসেনি। ফলে, চুক্তি জটিলতা দিনের পর দিন বেড়েছে। পরিস্থিতি যা তাতে বলা যেতে পারে, এখন ফুটবল বন্ধ ইস্টবেঙ্গলে। ইনভেস্টর-ইস্টবেঙ্গল জটিলতা সহজে মিটবে না। আর তা না মেটা পর্যন্ত মাঠে বল গড়ানোর সম্ভাবনা কম।

আরও পড়ুন: ফের বিতর্ক লাল-হলুদে, ওমিদ সিং ইস্যুতে ফিফার চিঠি ইস্টবেঙ্গলকে