কলকাতা: আফগানিস্তানের কাছে হার মেনে নিতে পারছেন না এ দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। এগিয়ে গিয়েও ১-২ গোলে হেরেছে ভারতীয় টিম। তাও আবার আফগানিস্তানের প্রথম সারির অধিকাংশ ফুটবলারই খেলেননি ওই ম্যাচে। এই হারের ফলে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নিজেদের রাস্তা কঠিন করে ফেলেছে ব্লু টাইগার্স। ভারতীয় টিমের কোচ ইগর স্টিমাচের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কয়েক দিন আগেই এক সংবাদ মাধ্যমে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পারফরম্যান্স নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ইগর। সুনীলদের হেডস্যার বলেছিলেন, ‘কুয়াদ্রাত কেমন কোচ, তা লিগ টেবিলে ইস্টবেঙ্গলের পজিশনই বুঝিয়ে দিচ্ছে।’ এই মন্তব্যকে মোটেও ভালো ভাবে নেননি লাল-হলুদ জনতা। ওই সমালোচনা এ বার বুমেরাং হয়ে গিয়েছে।
আফগানিস্তানের কাছে হারের পরই স্টিমাচকে তুলোধনা করেছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় কোচকে তীব্র ভর্ৎসনায় ভরিয়ে দেন অনেকে। কেউ কেউ তো স্টিমাচের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। যে কোনও কোচেরই আর এক টিমের কোচের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কোচের প্রতি স্টিমাচের মন্তব্যে শ্রদ্ধার ছিটেফোঁটা ছিল না। যা ভালো ভাবে নেননি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। অনেকে মজা করে বলছেন, এই ইস্টবেঙ্গলকে পেলে চ্যাম্পিয়ন করা তো দূর, স্টিমাচ হিমসিম খেয়ে মাঝপথেই হয়তো কোচিং ছেড়ে দিতেন।
আফগানিস্তান কাছে হারের পর দলের ব্যর্থতাকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন সুনীলদের হেডস্যার। ফেডারেশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। বিভিন্ন ইস্যুতে এখন কোণঠাসা ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। স্টিমাচ বলছেন, পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার আশা ভারতের এখনও আছে। রাহুল ভেকে, গুরপ্রীতদের এই জঘন্য পারফরম্যান্স অবশ্য সেই আশা দেখাতে ব্যর্থ। কিন্তু ভারতীয় টিমের কোচ নিজের কাজ ভুলে অন্য কোচের খুঁত বের করার দিকে মনোযোগী। স্টিমাচ যদি ভারতকে পরের পর্বে নিয়ে যেতে না পারেন, তা হলে চাকরিও খোয়াতে হতে পারে।