ব্রাসেলস : বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় নিয়ে কোচেদের সরে যাওয়া নতুন নয়। অনেক ক্ষেত্রে ছাঁটাই করে ফেলা হয় তাঁদের। কিন্তু ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে অনেক সময় ফুটবলাররাও সরে যান। দেশকে সাফল্য দিতে না পারার জন্য সে ভাবেই হঠাৎই অবসর নিয়ে নিলেন ইডেন হ্যাজার্ড। বেলজিয়াম প্রাক বিশ্বকাপ কিংবা অন্যান্য টুর্নামেন্টগুলোয় চমৎকার পারফর্ম করে। কিন্তু বিশ্বকাপ এলেই তারা কাপের ধারেকাছে পৌঁছতে পারে না। রাশিয়া বিশ্বকাপেও ঘটেছিল একই ঘটনা। কাতার বিশ্বকাপেও তাই। একরাশ স্বপ্ন দেখিয়ে কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায় থেকে ছিটকে গিয়েছে বেলজিয়াম। ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে ২ নম্বর টিম বেলজিয়াম। ইউরোপের লিগগুলোতে নামী ক্লাবেই খেলেন টিমের ফুটবলাররা। তাও জাতীয় টিমকে সাফল্য দিতে না পারার জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। সেই দায় নিয়েই কি সরে গেলেন হ্যাজার্ড? তুলে ধরল TV9 Bangla।
ইডেন তাঁর ইন্সটাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘এ বার জীবনের একটা পাতা ওল্টাতে হচ্ছে। যাদের ভালোবাসা পেয়েছি, তাদের ধন্যবাদ। সব সময় যাদের পাশে পেয়েছি, তাদের ধন্যবাদ। ২০০৮ সাল থেকে জয়ের যে সব মুহূর্ত তুলে ধরতে পেরেছি, উপভোগ করতে পেরেছি, তার জন্যও ধন্যবাদ। আজ আমি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিচ্ছি। পরের প্রজন্ম তৈরি। জাতীয় দলের হয়ে খেলাটাকে মিস করব।’
ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারের পরই টিমের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে অবসর নিয়ে আলোচনা করেছিলেন হ্যাজার্ড। তখন তাঁকে বোঝানোর চেষ্টাও করেছিলেন বন্ধুরা। এরই মধ্যে রবের্তো মার্তিনেজ সরে গিয়েছেন জাতীয় টিম থেকে। সব মিলিয়ে ৬ দিনও মনোভাব পাল্টায়নি হ্যাজার্ডের। আর তাই অবসর ঘোষণা করে দিলেন। ২০০৮ সালে বেলজিয়ামের সিনিয়র টিমে প্রথম ডাক পেয়েছিলেন হ্যাজার্ড। পরের ১৪ বছরে ১২৬টা ম্যাচ খেলেছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। ৩১ বছরের ফুটবলার করেছেন ৩৩টা গোল। হ্যাজার্ড সরে যাওয়ার পরও চেষ্টা চালানো হচ্ছে, তিনি যাতে সিদ্ধান্ত বদলান।