Indian Football: দেশে ফিরল টিভি নাইন নেটওয়ার্কের টাইগার-টাইগ্রেসরা, স্বাগত জানাল অস্ট্রিয়া দূতাবাস
Indian Tigers and Tigresses Returns: আঞ্চলিক ট্রায়ালের পর সেখান থেকে সেরা ২৮ জনকে নির্বাচিত করা হয়। দেশ ছাড়ার আগে টিভি নাইন নেটওয়ার্কের 'হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে' সামিটের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা জানান এই নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের।

দেশে ফুটবল প্রতিভা তুলে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে টিভি নাইন নেটওয়ার্ক। ইন্ডিয়ান টাইগার ও টাইগ্রেস নামের এই উদ্য়োগে সারা দেশ থেকে সেরা ২৮জন উঠতি ফুটবলারকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। বাছাই করা সেরা এই ২৮জনের মধ্যে ১৬ জন ছেলে ও ১২ জন মেয়ে। এই ফুটবল প্রতিভাদের জার্মানি এবং অস্ট্রিয়ায় পেশাদার ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। দেশে ফিরল টিভি নাইনের এই টাইগার অ্যান্ড টাইগ্রেসরা। ভারতে অস্ট্রিয়া দূতাবাসে তাদের বিশেষ ভাবে স্বাগত জানানো হল। ভারতে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত তাদের স্বাগত জানানোর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন।
টিভি নাইনের উদ্যোগে সারা দেশে ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার ফুটবলারকে। আঞ্চলিক ট্রায়ালের পর সেখান থেকে সেরা ২৮ জনকে নির্বাচিত করা হয়। দেশ ছাড়ার আগে টিভি নাইন নেটওয়ার্কের ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ সামিটের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা জানান এই নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের। তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনার যে উদ্যোগ টিভি নাইন নিয়েছে, প্রশংসায় ভরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
জার্মানি এবং অস্ট্রিয়াতে ভারতীয় ফুটবলের নতুন প্রতিভাদের পেশাদার ট্রেনিং চলে। অস্ট্রিয়ার মুন্ডেন অ্যাকাডেমিতে বিশেষ ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে। দেশে ফিরল ভারতের টাইগার ও টাইগ্রেসরা। দেশে ফেরার পর আপ্লতু ভারতে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত ক্যাথরিনা উইসার। ভারতের টাইগার-টাইগ্রেসদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ভারতের নতুন প্রজন্মের এই ফুটবলাররা অস্ট্রিয়া থেকে বিশেষ অনুশীলনে দক্ষতার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস, নিজস্ব পরিচিতি নিয়ে ফিরেছে। এটা আমাদের কাছেও প্রেরণা জোগানোর মতো। এই উদ্যোগে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা আপ্লুত। অস্ট্রিয়া এবং ভারতের মধ্যে ফুটবলের মাধ্যমে আরও একটা দরজা খুলে গেল। নিউজ নাইনের ইন্ডিয়ান টাইগার্স অ্যান্ড টাইগ্রেসেস-এর মতো উদ্যোগ খুবই জরুরি। সেটা শুধু খেলার উন্নতির জন্যই নয়, টিম স্পিরিট, একতা এবং নতুন সুযোগের ক্ষেত্রেও।’
টিভি নাইন নেটওয়ার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও বরুণ দাস বলেছেন, ‘দেশের হয়ে আমার স্বপ্ন, একদিন আমরা ফুটবল বিশ্বকাপ খেলব। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, আমাদের দেশে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। তাদের খুঁজে বেরা করা এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বিশ্বমানের ফুটবলার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। IFC, Riespo-র মতো গ্লোবাল পার্টনারদের সহযোগিতায় টিভি নাইন নেটওয়ার্ক এই উদ্যোগের প্রতি দায়বদ্ধ।’
এই ২৮ জন ফুটবল প্রতিভার মধ্যে দু-জন ছেলে ও দু-জন মেয়ে অস্ট্রিয়ার পাশাপাশি জার্মানির স্টুটগার্টে অ্যাডভান্স ট্রেনিংয়েরও সুযোগ পেয়েছে। ভবিষ্যতেও তারা আরও এমন সুযোগ পাবে। ভারত এবং অস্ট্রিয়ার মধ্যে এই উদ্যোগ আরও অন্যান্য দিকেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবে। তথ্যপ্রযুক্তি, অর্থনৈতিক, যুব সংস্কৃতির আদান প্রদান, শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্রীড়ার ক্ষেত্রেও দরজা খুলবে।





