Qatar Supporter: হার নিশ্চিত বুঝে ম্যাচ শেষের আগেই কাতারের সমর্থকরা ছাড়লেন গ্যালারি!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Nov 21, 2022 | 4:11 PM

Qatar World Cup 2022: উদ্বোধনী ম্যাচ শেষের আগেই কাতার সমর্থকদের চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে এ বিশ্বকাপের শুরুর দিনেই তুলে ধরল নেতিবাচক ছবি।

Qatar Supporter: হার নিশ্চিত বুঝে ম্যাচ শেষের আগেই কাতারের সমর্থকরা ছাড়লেন গ্যালারি!
খালি গ্যালারি

Follow Us

দোহা: আল বায়াত স্টেডিয়ামে রবিবার হয়েছে কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ। ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এর পরই ইকুয়েডর এবং কাতারের মধ্যে প্রথম ম্যাচ শুরু হয়। তখনও কাতারের সমর্থকদের বসার জায়গা ছিল পুরোপুরি ভর্তি। উদ্বোধনী ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট বজায় রাখে ইকুয়েডর। কাতার সে ভাবে ম্যাচে দাঁত ফোটাতে পারেনি। ম্যাচ শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই জালে বল জড়ায় ইকুয়েডর। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সেই গোল। এর পর ম্যাচের ১৬ এবং ৩৫ মিনিটে গোল করেন ইকুয়েডরের ফুটবলার ই ভ্যালেন্সিয়া। ২ গোলে এগিয়েই দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নামে ইকুয়েডর। দ্বিতীয়ার্ধেও কাতারের খেলা দেখে মনে হয়নি, যে তারা ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারবে। কাতারের সমর্থকরাও বোধহয় এই দেওয়াল লিখন পড়ে ফেলেছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে সময় যত গড়িয়েছে তত খালি হয়েছে স্টেডিয়ামে কাতারের স্ট্যান্ড। ম্যাচ শেষের সময় তা অনেকটাই খালি হয়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ অতীতে বিভিন্ন ম্যাচে দেখা গিয়েছে, দল হারলেও গ্যারালি থেকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যান সমর্থকরা। উদ্বোধনী ম্যাচ শেষের আগেই কাতার সমর্থকদের চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে এ বিশ্বকাপের শুরুর দিনেই তুলে ধরল নেতিবাচক ছবি।

ইকুয়েডরের জয়ে উচ্ছ্বসিত সে দেশ থেকে কাতারে খেলা দেখতে আসা সমর্থকরা। কার্লোস আলভিয়ার নামের এক সমর্থক বলেছেন, “এখানে আসাটা খুবই অন্য রমক। এই প্রথম মধ্য প্রাচ্যে বিশ্বকাপ হচ্ছে। সেই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দল জেতায় আমরা খুব খুশি।”

প্রথম ম্যাচে জিততে না পারলেও কাতারের সমর্থকরা আশা রেখেছিলেন। আবদাল্লা নামের এক কাতারি সমর্থক ম্যাচ শুরুর আগে বলেছিলেন, “১২ বছর ধরে এই মুহূর্তের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। আমাদের দলের উপর বিশ্বাস রয়েছে। আমাদের উচ্চাশাও রয়েছে। এই গ্রুপ থেকে পরের পর্বে যাব বলে আমরা আশাবাদী।” কিন্তু আশা রাখলেও সেই আশা পূরণ কতটা হবে তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।

Next Article